-->
শিরোনাম

সুপারির ফলন ভালো, দামে হতাশ চাষিরা

লক্ষীপুর প্রতিনিধি
সুপারির ফলন ভালো, দামে হতাশ চাষিরা
লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলায় সুপারির বাজারে ব্যস্ত শ্রমিক

লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলায় এবারো সুপারির ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু গতবারের তুলনায় দাম অর্ধেক কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। গত বছর এক পণ সুপারির দাম ছিল ২৫০-৩০০ টাকা। এখন সেই সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। ৮০টি সুপারিতে এক পণ হিসাব করা হয়। বর্তমানে সুপারির বাজারদর নিয়ে হতাশ উপজেলার কৃষক, গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

 

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ছোট বড় মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও বাগানে প্রায় ৪৮৫ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। চলতি বছর এসব বাগানের সব গাছেই সুপারির ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার সুপারি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। এতে উপজেলায় ২৬০০-৩০০০ টন সুপারি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ও এর বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে।

 

বাগান মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই বাজার সয়লাব হয়ে গেছে সুপারিতে। বাজারে সুপারির অনুপাতে ক্রেতা কম। এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা না আসায় কম দমে বাধ্য হয়ে স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে সুপারি বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। চলতি বছর এক কুড়ি তথা ৮০টি সুপারি ৮০-৯০ টাকা, মানভেদে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১২০-১৫০ টাকা কম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই সুপারি কিনে ৬০ শতাংশ পানিভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে রাখেন। ৪০ শতাংশ সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ও রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। চলতি বছর কাঁচা পাকা সুপারির দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক, গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

 

পৌরসভার বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘এখন উপজেলার প্রতিটা বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য সুপারি আসছে। চলতি বছর সুপারির ভালো ফলন হলেও গত বছরের তুলনায় বাজারে দাম অর্ধেকের চেয়েও কম।’

 

চরবংশী গ্রামের চাষি ফজলুল হক বলেন, ‘উপজেলার চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের শতকরা ৯০ ভাগ পরিবার সুপারি উৎপাদনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি হাটবারে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দৈনিক ১৫-২০ ট্রাক (পাঁচ টন) সুপারি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছর ভালো ফলন হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা।’

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, ‘রায়পুরে সুপারির বাম্পার ফলন হলেও বাজারে কাঁচা-পাকা সুপারির দাম না থাকায় গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন। তবে আশ্বিন-কার্তিক মাসে চাষি ও গৃহস্থরা দাম বেশি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version