পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার আজাহার আলী দাখিল মাদরাসার মাঠে গত ৪ মাস ধরে পানি আটকে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে শ্রেণিকক্ষের মেঝে তলিয়ে যায়। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ওই বদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশার লার্ভা। মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাসনের জন্য বারবার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর কলারণ গ্রামে, উত্তর পশ্চিম কলারণ আজাহার আলী দাখিল মাদরাসাটি অবস্থিত। মাদরাসার ৪ তলা ভবনের কাজ চলমান থাকার পাশের টিনশেডের কাঁচা ঘরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ক্লাস চলছে। পুরো মাদরাসা মাঠ হাঁটু পানিতে তলিয়ে আছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, ৪ মাস ধরে মাদরাসার মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। আগে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা থাকলেও সেই জমির মালিক নিজেদের প্রয়োজনে তা আটকে রাখায় সেখান থেকে পানি নামানো যাচ্ছে না। পানি নিষ্কাসনের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় বারবার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করলেও ১ দিন পরেই তা আবার আটকে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে মাদরাসার মাঠ ছাপিয়ে শ্রেণিকক্ষেও পানি উঠে যায়।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের উত্তর কলারন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে মাদরাসা মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও মাদরাসা মাঠের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক তা আবার আটকে দিয়েছেন। তাই সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই জমির মালিক মো. মহাসিন হাওলদার জানান, মাদরাসা মাঠের পানি তার জমিতে গেলে তার জমির ফসলের ক্ষতি হবে। তাই তিনি সেখানে থাকা নালা আটকে দিয়েছেন। ফসলের ক্ষতি না হলে তিনি আটকাতেন না বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মঞ্জু জানান, মাদরাসা মাঠের পানি নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য