কালীগঞ্জে ভালোবাসায় পোষ মেনেছে শত শত শালিক পাখি। ভোরের আলো ফুটতেই শত শত শালিক পাখি খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে। আর সেই অপেক্ষারত শালিক পাখিদের জন্য প্রতিদিন দোকান থেকে কেনা রুটি বা বিস্কুটের অংশ ছিটিয়ে পরম মমতায় খাওয়াচ্ছেন বৈদ্যুতিকমিস্ত্রি মুজাম। এমনই ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রামে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে বেথুলী গ্রামের অবস্থান। ভোরের আলো ফুটতেই বেথুলী গ্রামের ছোট এ বাজারে প্রতিদিন শত শত পাখি অপেক্ষা করে কখন মো. মুজাম খাবার নিয়ে আসবেন।
এ গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মো. মুজাম প্রতিদিন ফজর নামাজ শেষ করে শালিক পাখিদের পরম মমতায় খাওয়ান। ভালোবাসা আর স্নেহের কমতি না থাকায় মাত্র এক মাসেই যেন শালিক পাখিদের বড় বন্ধু হয়ে গেছেন মো. মুজাম। মুজামও তাদের খেতে দিতে না পারলে থাকতে পারেন না এখন। তাই প্রতিদিন প্রস্তুতি রাখেন পরের দিন পাখিদের কি দিবেন।
মুজামের এ মহৎ কাজকে এখন উপভোগ করা শুরু করেছেন তারই এলাকার মানুষজন। খুব সকালে বাজারে আসা রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রতিদিন বটতলা বেথুলী বাজারে ফজরের নামাজের পর চা খেতে আসি। মুজাম প্রতিদিন শালিক পাখিদের খেতে দেয়। এটা দেখতে বেশ ভালো লাগে। অনেকে পাখিগুলোকে দেখতে দূর থেকেও আসেন।
তেমনি এক ব্যক্তি শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে বেথুল গ্রামে আসি পাখিগুলো দেখতে।
পাখিদের প্রতিনিয়ত খাবার দেয়ার ব্যাপারে মো. মুজাম বলেন, শালিক পাখিদের খাওয়ায় এক মাস প্রায়। ভোরবেলা নামাজ পড়ে এসে পাখিদের খাওয়ায়। কোনো উদ্দেশ নেই, ভালো লাগে তাই খেতে দিই।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য