-->
শিরোনাম

বাঁশের সাঁকোই ভরসা, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

নওগাঁ প্রতিনিধি
বাঁশের সাঁকোই ভরসা, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার নহনা কালুপাড়া খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নহনা কালুপাড়া খালের ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোই একমাত্র ভরসা ৯ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই এই সাঁকো দিয়ে পার হতে হয় হাজারো মানুষের। অনেক সময় এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে হয়েছে। তাই বছরের পর বছর একটি সেতুর জন্য অপেক্ষায় এই এলাকার বাসিন্দারা।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, নহনা কালুপাড়া খালের ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। এই সাঁকোটি ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় পারাপার হতে দিতে হচ্ছে অর্থ। খালের দুই পাড়ে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট বাজারসহ কমিউনিটি ক্লিনিক। ফলে এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে আসতে অনেক টায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচন আসলেন প্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা যায় না। বছরের পর বছর শুধু আশ্বাস দিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি পাকা ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। কবে সেতু হবে, তাও জানেন না কেউ।

 

কর্নভাক গ্রামের কলেজ শিক্ষক গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ব্রিজ না থাকায় স্কুল কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করে পার হতে হয়। বিশেষ করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। এখানে একাধিক স্কুল কলেজ রয়েছে, সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া।

 

একই এলাকার কৃষক আজগর আলী বলেন, এই সাঁকো দিয়ে ভ্যান বা অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে না পারায় ধান ও অন্যান্য ফসল মাথায় নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিতে সাঁকো পারাপার হতে হয়। নদীর পশ্চিম পাড়ে বাজারে ধান নিতে গিয়ে অনেকবার ফসল পড়ে গেছে। কত নেতা আসে আর গেল। আমগোরে কেউ একটা ব্রিজ করে দিল না।

 

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম আজম বলেন, অবহেলিত এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, মানুষগুলো জরাজীর্ণ সাঁকোটি প্রতিদিন যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে একটি সেতু হোক এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমি এ বিষয়টি নিয়ে মান্দা উপজেলার অভিভাবক এমপি মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিজ করে দেবেন।

 

এ ব্যাপারে উপজেলার প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিঞা বলেন, ওই স্থানের রাস্তা এবং ব্রিজের তালিকা জন্য পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version