-->

গ্যাস সংকটে বিপাকে গ্রাহকরা

ইব্রাহীম শেখ, চট্টগ্রাম
গ্যাস সংকটে বিপাকে গ্রাহকরা

সকাল থেকে গ্যাস পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ১ ঘণ্টা। একবার আসে আবার চলে যায়। চুলায় রান্না বসালে তরকারি পুরোপুরি সিদ্ধ হবার আগে গ্যাস চলে যায়। তাই হোটেলের ওপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে। শনিবার বেলা ১১টা-৩টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলছে গ্যাস সংকট। বিকেল ৩টার পর একটু একটু করে আসতে শুরু করে গ্যাস। গ্যাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ।

 

রোববারও নগরের বিভিন্ন এলাকায় চুলা জ্বলেনি প্রায় বিকেল পর্যন্ত। শনিবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সংকট দেখা দেয়। ফলে গ্যাস কেজিডিসিএলের আবাসিক অনাবাসিক গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছেন।

 

এলাকাভিত্তিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন। জানা গেছে, পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নতুন আমদানি চুক্তি করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। চট্টগ্রাম নগরসহ সারা দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সংকট থাকবে।

 

পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, চাহিদা মোতাবেক বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি হচ্ছে না। চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকার কারণে ৭০০ মিলিয়নের বিপরীতে ৬০০ মিলিয়ন সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এলএনজি গ্যাস টার্মিনালের কাতারসহ বিভিন্ন স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু নতুন করে টেন্ডার করা যাচ্ছে না। টেন্ডারের দাম বেশি ও পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নতুন করে চুক্তি করা যাচ্ছে না।’ অন্যদিকে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।

 

এরমধ্যে গৃহস্থালী সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০-৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

 

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ কম। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরো এক মাস সময় লাগতে পারে।’

 

এদিকে পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘আগামী ২ মাস পর গ্যাস সরবরাহ সব স্বাভাবিক হতে পারে। বাংলাদেশে গ্যাস আমাদানি কমে গেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে আমাদের একটি টার্মিনাল বন্ধ হবে। ফলে গ্যাস সংকট চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেবে।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version