-->
শিরোনাম

ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর এলজিইডির সড়ক

সুশীল সরকার, রূপগঞ্জ
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর এলজিইডির সড়ক
এলজিইডির ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কের সরকারি হালডে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে চলে গেছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলজিইডির অধীনস্থ ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কের অংশ সরকারি হালডে বা সড়কের অবস্থান রেখে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে চলে গেছে ভক্তবাড়ি বাজার এলাকায়। এতে জমির মালিকরা সড়কের কারণে তাদের জমি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সরকারি হালড উদ্ধারের দাবিতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। ইতোমধ্যে স্থানীয় এলজিইডি, উপজেলা প্রশাসন, এমপিসহ জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

 

সূত্র জানায়, ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের ভক্তবাড়ি বাজার এলাকা, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ মৌজায় অবস্থিত। এ মৌজার এস এ ৪৫০ আরএস ৯৬৪ খতিয়ানের ওপর সরকারি নকশায় ২০ ফুট প্রশস্ত ওই সড়কের অংশ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জবর দখলদাররা সড়কটির পশ্চিম পাশে দোকান ঘর বানিয়ে দখল কওে রেখেছে। আর পূর্ব পাশের ২০ জনের অধিক জমি মালিকের তৎকালীন পতিত জমির ওপর সড়ক নির্মাণ করেছে এলজিইডি। এ সুযোগে দখলদাররা সরকারি হালডের ওপর করা দোকান না সরানোর কারনে উল্টো সরকারি জমি বেদখল হয়ে যায়। এভাবে গত ৮ বছর ধরে সড়কটির কারণে প্রকৃত জমি মালিকরা তাদের জমি বুঝে পাচ্ছেন না।

 

স্থানীয় জমির মালিক আব্দুর রহমান শাহিনূর মোল্লা বলেন, আমরা বহু বছর ধরে সড়কের কারণে নিজ জমি বুঝে পাচ্ছি না। স¤প্রতি ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির প্রশস্তকরণসহ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু পাকা ও টেকসই সড়ক হচ্ছে, সরকার তার নিজের জমিতে সরকারি হালড উদ্ধার করে কাজ করুক। এ কাজে আমরা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ফিরে পাব। সরকারি জমিও উদ্ধার হবে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা আশ্বাস দিলেও রহস্যজনকভাবে হালড উদ্ধার করেনি।

 

ভক্তবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, সার্ভেয়ার, ইঞ্জিনিয়াররা একাধিকবার আমাদের আবেদন পেয়ে মাপঝোঁক করেছেন। প্রমাণ পেয়েছেন যে সরকারি হালড পশ্চিমপাশে দিয়ে গেছে। লাল দাগও দিয়েছেন। কিন্তু উচ্ছেদ করছে না। এতে সরকারি হালড বেদখল আর ব্যক্তিগত জমিতে সড়ক হয়ে আছে।

 

অপর জমি মালিক, জাহের আলী ব্যাপারীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে যাদের ক্ষমতা বেশি তারাই সরকারি জমিতে দোকান করে এতদিন দখলে ছিল। এমন প্রকাশ্য অন্যায় আমরা আর মানবো না। সরকারি সড়ক সরকারি জমিতে করতে হবে।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জমি মালিকরা লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের বিষয়টি তদন্ত হয়েছে। সড়কের কাজ চলমান। দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি।

 

রূপগঞ্জ ইউএনও ফয়সাল হক বলেন, সরকারি হালড বহাল থাকলে ব্যক্তিমালিকানার জমিতে সড়ক থাকার প্রশ্নই আসে না। আমরা সরকারি হালড উদ্ধারের কাজ করছি। তবে যেহেতু ৩০ ফুট সড়কের কাজ হচ্ছে সেহেতু নির্ধারিত মাপের বাইরে আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version