-->
শিরোনাম

কাঁচা ও কর্দমাক্ত রাস্তা, দুর্ভোগে দুই লক্ষাধিক মানুষ

আ. রশিদ তালুকদার, টাঙ্গাইল
কাঁচা ও কর্দমাক্ত রাস্তা, দুর্ভোগে দুই লক্ষাধিক মানুষ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা ও কর্দমাক্ত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার অবহেলিত পাহাড়ি অঞ্চলের চার ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা ও কর্দমাক্ত হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ২ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা ও বাঁশতৈল ইউনিয়ন চারটি মূলত পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত।

 

ইউনিয়ন চারটি জেলা শহর টাঙ্গাইল ও উপজেলা সদর মির্জাপুর থেকে দুর্গম এলাকা হওয়ায় স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রাস্তাঘাটে উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি। ফলে স্থানীয়রা যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কৃষিপণ্য বিপণনে অধিক ব্যয় বহন করতে বাধ্য হচ্ছে।

 

ইউনিয়নগুলোর মধ্যে লতিফপুর ইউনিয়নের ১২টি, তরফপুর ইউনিয়নে ১৫টি, আজগানা ইউনিয়নে ১৭টি এবং বাঁশতৈল ইউনিয়নে ২০টি রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ।

 

আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আনোয়ার হোসেন, আজগানা গ্রামের ব্যবসায়ী ছানোয়ার হোসেন, বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের মাসুদ পারভেজ, পেকুয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মোতালেব হোসেনসহ এলাকার অনেকেই জানান, টাঙ্গাইল জেলা শহর ও মির্জাপুর উপজেলা সদরে যেতে তাদেরকে ২০-২৫ কিলোমিটার ঘুরে যোগাযোগ করতে হয়।

 

এরমধ্যে সর্ববৃহৎ আজগানা ইউনিয়নের জনসাধারণকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ওপর দিয়ে ৩০-৫০ মাইল ঘুরে জেলা-উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। এতে একদিকে যেমন সময় অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে দ্বিগুণ অর্থ অপচয় হচ্ছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই প্রতিটি রাস্তার ওপর পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য। এ ইউনিয়নের অন্তত ২০টি রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় তারা রাস্তার ওপর বাঁশের চালি ফেলে পায়ে হাঁটার চেষ্টা করেন।

 

বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান ও লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি জানান, তাদের এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো অধিকাংশ কাঁচা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে অত্যধিক কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এমপির সঙ্গে সমন্বয় করে কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

 

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আরিফুর রহমান জানান, প্রতিটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ও গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার তালিকা করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কোনো কোনো রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে। যে রাস্তাগুলোর কাজ এখনো শুরু হয়নি অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেগুলোর কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version