একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা করছে একটি কুচক্রি মহল। ওই মহলটি ব্যবসায়ীকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনও করেছে। এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মো. শাহীন নামের ওই ব্যবসায়ী। তার দাবি, তার ১৭ শতাংশ জমি জবরদখল করার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে একটি মহল। যদি ওই মহলটি এসব অপপ্রচার বন্ধ না করে তাহলে তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ‘নারায়ণগঞ্জ ভিনটেক্স এটিয়ার লিমিটেড’র মালিক।
মো. শাহীন বলেন, চর বক্তাবলীর মৌজার, সিএস দাগ নং ২৩৭২, এসএ ২৪১৪, আরএস ৭৯৩৬’র মোট ১০০ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আমি। কিন্তু আমার এ ১০০ শতাংশ জমি থেকে আলমাছ দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি ১৭ শতাংশ জমি দাবি করেন। এ বিষয়ে কাশীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদলকে জানালে তিনি আলমাছ দেওয়ান ও আমাকে নিয়ে বসেন।
কিন্তু সেই বিচার তিনি মেনে না নিয়ে চলে আসেন। এরপর বহুবার তাকে ডাকা হলেও শরীর খারাপসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তিনি আর আসেননি। এরপর আমরা একবার উকিল নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে এ সমস্যাটা সমাধানের দ্বারপ্রান্তে আসলে, তার উকিল হঠাৎ বলে বসলেন, এটার সমাধান আমরা দিতে পারব না। এটার সমাধান আদালতে হবে। এরপর বহুবার তারিখ দেয়া হলেও সমাধান হয়নি।
পরে সমাধানের জন্য তারাই আমাকে আলী হায়দার শামীমের (পিজ্জা শামীম) কাছে নিয়ে যান। সেখানেও সমাধান হয়নি। যে শামীমের কাছে তারা নিজারাই আমাদের নিয়ে গিয়েছিল, দেখলাম তার বিরুদ্ধেও তারা অভিযোগ করেছে। আমরা নাকি তাকে নিয়ে আলমাছ দেওয়ানের বাসায় দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছি, তার কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। আমার এখানে ৩-৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সমাজের ওপর করি, মানুষের সেবা করি। আর আমাদেরকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। আলমাছ দেওয়ান আমার ১৭ শতাংশ জমি জবর দখলের জন্য তার ছেলে ইমরান দেওয়ানকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। ভবিষ্যতে এভাবে যদি আমাদের সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয় তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য