-->
শিরোনাম

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণার অভিযোগ

হুমায়ন রশিদ জুয়েল, কিশোরগঞ্জ
সমবায় সমিতির নামে প্রতারণার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পুলের ঘাট বাজারে রজনীগন্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নামে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় অফিসে দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পুলের ঘাট এলাকার জামশেদ উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে লোভনীয় অফার দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পুলের ঘাট এলাকা অফিস দেখিয়ে রজনীগন্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নামে রেজিস্ট্র্রেশন নেন জামশেদ উদ্দিন মেম্বার। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নিজ উপজেলার বাইরে কাজ করতে হলে, সমবায় জেলা অফিসের অনুমোদন নিতে হয়।

 

কিন্তু পরিচালক জামশেদ মেম্বার স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে পাকুন্দিয়া ও নিকলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রজনীগন্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নামে লোকদের সঙ্গে প্রতারণা করে সর্বশান্ত করে চলছেন। এছাড়া সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা নিলেও বইয়ের মধ্যে তা উল্লেখ না করে এক পরিবারের সদস্যদের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৮ লাখ টাকা। এখানেই শেষ নয় সমিতির শেয়ার হোল্ডারের সদস্য নেয়ার নামেও হাতিয়ে নিয়েছে ৪০ লাখ টাকার উপরে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুলের ঘাট বাজারে নির্মানাধীন ভবনের ওপর রজনীগন্ধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নামে সাইন বোর্ড ঝুলছে। অন্যদিকে, পাকুন্দিয়া রোডের আউয়ালের বিল্ডিংয়ের নিচতলা মিনিস্টার কোম্পানির নামের সঙ্গে রজনীগন্ধার নামে সাইন বোর্ড টানিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার নিকলী উপজেলার কুররাপারা বাজারে আরেকটি শোরুমের মাঝে একই কায়দায় সাইন বোর্ড টানিয়ে কিস্তিতে মালামাল ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সরকারি নীতি মালার বাইরে।

 

বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত ম্যানেজার বলেন, আমরা এখানে কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। এ বিষয়ে জানতে হলে সমিতির মালিক জামশেদ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

 

বিষয়টি নিয়ে মোবাইলে কথা হলে জামশেদ উদ্দিন বলেন, আমি নগদ ব্যবসা করছি। কে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার নাম বলেন।

 

এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান আতহার আলী বলেন, লোকজন মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন, জামশেদ মেম্বার ও তার ভাইয়েরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ব্যবসার নামে তাদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন করেছেন। কয়েক দিন আগেও কয়েকজন লোক পরিষদে জামশেদের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান।

 

অভিযোগকারী ফরিদা পারভীন বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে জামশেদ সমিতির শেয়ার হোল্ডার ও সদস্য করার কথা বলে ৬০/৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন তালবাহানা করছেন।

 

কিশোরগঞ্জ জেলা সমবায় অফিসার উম্মে মরিয়ম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করব।

 

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সমবায় অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ কপি পেয়েছি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। এক উপজেলার অনুমতি নিয়ে অন্য উপজেলায় কাজ করার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সঞ্চয়ের বইয়ের টাকার অনিয়মের বিষয়সহ অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version