-->
শিরোনাম

জনপ্রিয় হচ্ছে জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ

বাবলুর রহমান বারী, রংপুর
জনপ্রিয় হচ্ছে জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পদ্ধতি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজির চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। ফলে দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

 

পীরগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক ছাড়াই সবুজ সার ব্যবহার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই একমাত্র বিষমুক্ত জৈব সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কোনো রাসায়নিক যন্ত্র ব্যবহার না হওয়ায় ফসল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এতে বিষমুক্ত নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব।

 

মঙ্গলবার উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে নেট ব্যবহার করছেন। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই কৃষকরা এ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত দেশি শিম, বেগুন, করলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বাজারে পাওয়া যায়।

 

একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিটি ফসলে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বালাইনাশক ব্যবহার করতে হয়। এতে সব ধরনের সবজি বিষযুক্ত হয়। এ সবজি খেয়ে অনেকের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণে কৃষকরা বিকল্প চিন্তা করে বিষমুক্ত সবজি আবাদে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। কৃষকেরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি সবজি ক্ষেত নেট জাল দিয়ে ঘিরে চাষাবাদ করছেন। এ পদ্ধতিতে চাষকৃত জমিতে কীটনাশক দিতে হয় না। আবার পোকা-মাকড় ও পশু-পাখির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

কথা হয় চর তাম্বুলপুর গ্রামের সবজি চাষি আব্দুর সালামের সাথে। তিনি জানান, কিছুদিন আগেও তিনি কীটনাশক ছাড়া কোনো সবজিই উৎপাদন চাষাবাদ করতেন না। করা সম্ভবও ছিল না।

 

তিনি বলেন, যখন বুঝতে পারলাম ওই সবজির মাধ্যমে মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছি, আমরাও বিষ খাচ্ছি। তখন থেকেই আমি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন শুরু করছি।

 

শিবচরের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, এখন মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। তাই কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত সবজি কিনতে চায় না। এজন্য বাজারে বিষমুক্ত সবজির চাহিদা বেড়েছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

 

এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। বর্তমানে এই উপজেলায় দিন দিন জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ বেড়েছে অনেক। জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের ব্যাপক উৎসাহিত করা হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version