-->
শিরোনাম
১৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন

পাল্টে গেছে গ্রামীণ জনপদের জীবনমান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
পাল্টে গেছে গ্রামীণ জনপদের জীবনমান

জেলার বাসাইল ও সখীপুর উপজেলায় বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরে অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ জনপদের জীবনমান পাল্টে গেছে। এই দুটি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে ১৮০০ কোটিরও বেশি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। অনগ্রসর শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, শতভাগ বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অনগ্রসর ভাতা, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর প্রদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড ইত্যাদি বাড়ানোর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তারও মানোন্নয়ন ঘটেছে।

 

জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় সড়ক যোগাযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ ও মেরামত, দুটি উপজেলার শিক্ষা খাত, উপজেলার হাসপাতালেই এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন স্থাপন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। দুটি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁচা রাস্তার উন্নয়ন ও মেরামত করা হয়েছে।

 

স্থানীয় সরকার ও পিআইও দপ্তর থেকে ১ হাজার ৮০০ কোটিরও অধিক টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলায় দুটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন) দপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাসাইল-সখীপুরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কাজ হয়েছে।

 

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভাতকুড়া-বাসাইল সড়ক, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সখীপুর-বাটাজোড় ১৮ ফুট প্রশস্ত পুনর্বাসন সড়ক, ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নলুয়া-বাসাইল সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বহেড়াতৈল-রতনগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্প থেকে ৩২০ কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ, টাঙ্গাইল প্রজেক্টের মাধ্যমে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে ১২০ কোটি টাকার, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি রাস্তা মেরামত, ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ ও ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের মাধ্যমে এইচবিবিকরণ এবং ইট সোলিং রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭৫০টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন, ৩২০টি মসজিদ ও ১৭৫টি মন্দির-শ্মশানে সংস্কার কাজ করা হয়েছে।

 

এছাড়াও ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভ‚ক্তি, ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণ, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৭টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি স্কুলের ভবন মেরামত এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে ২ হাজার ১১৮টি গভীর নলক‚প স্থাপন বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৬ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের ২৮৩টি টিনশেড ও ১০০টি টিনের ঘর প্রদান করা হয়েছে। ১২ হাজার ৮৪৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, গত পাঁচবছরে বাসাইল ও সখীপুর উপজেলায় অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট উন্নয়নের ফলে এখন মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হলেই যানবাহনে জেলার বিভিন্ন স্থানে যেতে পারেন। এখন আর বৃষ্টি কিংবা বর্ষায় মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হয় না।

 

এলাকার কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে তিনি সব সময় থাকেন। এলাকার অবহেলিত ও অসহায় মানুষের পাশেই তিনি থাকতে চান। সখীপুর-বাসাইলের মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। সারা দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে তিনি সকলের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version