কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৪০ একর জমিতে তৈরি হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা কৃষি খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলী তারেক রহমান। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের ভূমি লিজ নেয়ার কাজ শেষের পথে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এমএগ্রিন এনার্জি লিমিটেড।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী সোনাইকাজী ও যতিন্দ্র নারায়ণের চরে এক ফসলি জমিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি। ২০২২ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হলে দেশের জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে উৎপাদিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য লিজ নেয়া হয়েছে প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ জমি। বিনিময়ে প্রথম ২ বছর জমির ভাড়া হিসেবে একরপ্রতি কৃষকদের দেয়া হবে ৭ হাজার করে টাকা। পরবর্তী তৃতীয় বছর থেকে কৃষকরা একর প্রতি একর পাবেন ৩০ হাজার টাকা। সঙ্গে জমিতে ফসল ফলানোরও সুযোগ পাবেন। তবে অধিকাংশ কৃষক খুশি হয়ে তাদের জমি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর করলেও এখনো কিছু কৃষক আছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে।
কৃষক আব্দুল আউয়াল বলেন, এ চরের জমিগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবাদ ঠিকমতো হয় না। এজন্য আমরা নিজেদের জমি এমএগ্রিন এনার্জি কোম্পানিকে দিয়েছি। প্রথম দুবছর ভাড়া বাবদ একরপ্রতি ৭ হাজার টাকা আর পরবর্তী বছর থেকে ৩০ হাজার টাকা করে পাব। পাশাপাশি আমাদের জমিতে ছায়া ফসল ফলাতে পারব। এতে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে।
স্থানীয় শিক্ষক পারু বলেন, আমার পরিবারের প্রায় ১৪ একর জমি দিয়েছি। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি প্যানেলের নিচের জমিতে চাষাবাদে কোম্পানি সহযোগিতাও করবে। এতে শুধু আমার জন্য নয়, এ এলাকার মানুষেরও ভালো হবে।
এ বিষয়ে এমএগ্রিন এনার্জি লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প প্রকৌশলী তারেক রহমান বলেন, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালু হলে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি উপকৃত হবেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পাশাপাশি সৌর প্যানেলের নিচে জমির মালিকদের ফসল চাষে সহায়তা পাবেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য