-->
শিরোনাম
হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা

ফ্লাইওভারের সুফল পাচ্ছে পথচারীরা

সুশীল সরকার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
ফ্লাইওভারের সুফল পাচ্ছে পথচারীরা
ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা

শিল্পাঞ্চল রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট নিরসনে ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল ভুলতা ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারটি নির্মাণের পর থেকে ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার ভাগাড় ও অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রাখার কারণে ফ্লাইওভারটির সুফল পথচারীরা পাচ্ছিল না। তবে গত ২ মাসে ভুলতা ফ্লাইওভারটির সুফল পেতে শুরু করেছে পথচারীরা। আর এটি সম্ভব হয়েছে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবু নাইমের কারণে। বর্তমানে ফ্লাইওভারের নিচে জটলা না থাকায় নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে।

 

জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে যানজট লেগেই থাকত। এ যানজটের কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এ ভোগান্তির কারণে সাধারণ মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হতো। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৬৩১ দশমিক ১৬ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লাইওভারটির কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের জুন মাসে।

 

কিন্তু অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, অবৈধ সিএনজি স্টেশন, অবৈধ ইজিবাইক স্টেশনের কারণে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরও যানজট নিরসন হচ্ছিল না। আর এ কারণে ফ্লাইওভারের সুফলও পাচ্ছিল না সাধারণ মানুষ। তবে দুই মাসে হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাইমের তৎপরতায় ভুলতা ফ্লাইওভারে সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।

 

তিনি সিএনজি স্টেশন ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড রাস্তা থেকে সরিয়ে ফাঁকা জায়গায় স্থানান্তর করে দিয়েছেন। ফ্লাইওভারের নিচে কনক্রিটের ব্লক থাকার কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটত আর এ ব্লক গুলো সরিয়ে দেয়ায় যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। এছাড়া ফুটপাত থেকে অবৈধ হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে।

 

এদিকে, মহাসড়ক দিয়ে যাতে অবৈধ যানবাহন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেদিকে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। গত ২ মাসে আবু নাইমের নেতৃত্বে ফিটনেস ও কাগজপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজারের অধিক মামলা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক থ্রিহুইলার যানবাহন রয়েছে।

 

কলেজ শিক্ষার্থী আইনুল বলেন, গত দুই মাস ধরে ভুলতা এলাকায় যানজট নেই। আগে যানজটের জন্য কলেজে যেতে অনেক দেরি হয়ে যেত। এ কারণে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। বর্তমানে যানজট না থাকায় আমরা শান্তিতে চলাচল করতে পারছি।

 

বাসচালক রাসেল মিয়া জানান, ভুলতায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকানপাট না থাকায় এখন আর যানজটের সৃষ্টি হয় না।

 

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আবু নাইম বলেন, আমি ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি যানজট নিরসন করতে। সাধারণ মানুষ যাতে করে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন। আমি গত ২ মাসে ১ হাজারের অধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি।

 

এছাড়া ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড স্থানান্তর করাসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version