-->
শিরোনাম

ছেলেকে কিডনি দিতে চান বাবা, টাকার অভাবে আটকে আছে প্রতিস্থাপন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ছেলেকে কিডনি দিতে চান বাবা, টাকার অভাবে আটকে আছে প্রতিস্থাপন

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) ছাত্র শ্রী খোকন চন্দ্র। বয়স মাত্র ২১, তার স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা নিয়ে নর সুন্দর বাবার সঙ্গে হাল ধরবেন সংসারের। কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস, দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেলো তার। বাবার সামান্য আয়ে সংসার চালানোর পর সন্তানের এমন ব্যয় বহুল খরচে চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, শ্রী খোকন চন্দ্র সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া গ্রামের শ্রী মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে। মনোরঞ্জন সরকার পেশায় নর সুন্দর।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খোকন চন্দ্র। তখন চিকিৎসার জন্য বগুড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিকে নিলে সেখানকার চিকিৎসক বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে জানা যায় তার কিডনিতে সমস্যা। তার দুটো কিডনিই ৭৫ শতাংশ বিকল হয়ে গেছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শেই তাকে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৩ জুন থেকে শুরু হয় সপ্তাহে দুদিন কিডনি ডায়ালাইসিস। এভাবেই তার ডায়ালাইসিস চলছে।

খোকন চন্দ্রের বাবা মনোরঞ্জন সরকার বিত্তশালীদের কাছে সহযোগীতা চেয়ে বলেন, পরিবার ও স্বজনদের সহযোগিতায় এতদিন চিকিৎসা করিয়েছি। এখন নিজের আড়াই শতাংশ বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই। ডাক্তার বলেছেন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে খুব দ্রুত। তাছাড়া আমার ছেলেকে বাঁচানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তাররা আমার কিডনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেছে আমারটা ম্যাচিং হয়েছে। আমি কিডনি দেব কিন্তু অপারেশন ও চিকিৎসার টাকা পাবো কোথায়? ডাক্তার বলেছে দশ-বারো লাখ টাকা লাগবে।

এ প্রসঙ্গে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ মতিয়ার রহমান ভোরের আকাশ কে বলেন, এ বিষয়টি আমরা অবগত না। তবে আমাদের কাছে ওই পরিবার আবেদন করলে সরকারিভাবে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া যাবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version