রিকশাভ্যান চালিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তিন সন্তানকে নিয়ে পাহাড়সম স্বপ্ন দেখছিলেন বাবা মো. আব্দুল কাদির। কলেজ পড়ুয়া নাসির উদ্দিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেলো। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু বিক্রির পর এবার নিজের শেষ সম্বল রিকশাভ্যানটিও বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। শুধু সন্তানকে বাঁচাতে চান। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের কালিপুর মধ্যম তরফ (কলাবাগান) মহল্লায়।
ভ্যান চালিয়ে আব্দুল কাদির সন্তানদের লেখাপড়া ও তিনবেলার আহার যোগান দিতেন। সহায়-সম্পদ বলতেও দেড় শতাংশের ভিটামাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। এরপরেও সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ভ্যান চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।
এরমধ্যেই প্রায়শঃ অসুস্থ হয়ে পড়েন নাসির উদ্দিন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েকবার ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিভিন্ন টেস্ট দেন। মচিমহা’র প্যাথলজি বিভাগের দেয়া টেস্টে ২০২৩সনের ৮জানুয়ারি ধরা পড়ে ‘ল্যামফোমা’ নামক ক্যান্সারে সে আক্রান্ত হয়েছে। এরপর থেকেই তার চিকিৎসা চলে এ হাসপাতালে। ৮মাস চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার মহাখালী ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে প্রেরণ করে। সন্তানের চিকিৎসা নিজের একমাত্র কর্মের হাতিয়ার রিকশাভ্যানটিও বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি জানান, আমি আজ নিঃস্ব, অসহায়। সন্তানকে দেখতে ঠিক থাকতে পারছি না। ওর মা নেই, ওকে আমার সন্তানকে বুকে নিয়ে শুধু কাঁদছি, চোখের পানিও তো আর বের হয় না। ডাক্তার বলেছেন, চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু চিকিৎসার ওষুধ, টেস্টের টাকা আর সন্তানদের মুখের খাবার কিভাবে দিবো! আমার তো সবশেষ, কিছুই নেই।
তাকে বাঁচাতে সহপাঠী বন্ধুরাও সহযোগিতা চেয়েছেন। তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে নাসিরের বোনের বিকাশ ও নগদ নাম্বার ০১৯৬৬০১৩৭৮৩ সহযোগিতা করতে পারেন। চিকিৎসা বিষয়ে জানতে তার বাবার মোবাইল নাম্বার ০১৯৩২৩০৯৪৮৫ যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য