ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঝড়ো হাওয়া আর মুষলধারে বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।
কৃষক শহীদ মুন্সী বলেন, মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে। এ সময় বাড়তি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া যদি থাকে তাহলে ধান পানিতে হেলে পড়বে। আর এতে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ ইতোমধ্যে অতিবৃষ্টিতে ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে। আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকান্দার মিয়া বলেন, ‘এখন আমন ধানের মৌসুম। ধানে ফুল এসেছে, এ সময় অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে। আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। তার মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ খেতের ধান পরিপক্ব হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের ফলে আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ধান কাটার মতো হয়েছে, তাদের ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।’
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় এটি আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কেল্লা, ৮ হাজার ৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৭ লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা, ৬৫০ টন চাল মজুত রয়েছে। জেলায় স্যালাইন, খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট পর্যাপ্ত প্রস্তুত রয়েছে। ৮২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য