-->

আলু চাষে কৃষকের ব্যস্ততা, বেড়েছে উৎপাদন খরচ

বিপ্লব চৌধুরী, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)
আলু চাষে কৃষকের ব্যস্ততা, বেড়েছে উৎপাদন খরচ
ক্যাপশন: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আগাম জাতের আলু আবাদে ব্যস্ত কৃষক

আলু উৎপাদনে বৃহত্তম জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এবারও আলুর ভালো ফলন ও বেশি দামের আশায় আলুর বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকেরা। জমিতে আলুর বীজ রোপণের জন্য তড়িঘড়ি করে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই, জমিতে হালচাষ, জৈব সার ছিটানোসহ আলুর বীজ রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা। এ বছর আলুতে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় আলুর চাষাবাদও বেড়েছে এই অঞ্চলে। কৃষকের কাছে আলু এখন প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আলু চাষে কৃষকের উৎপান খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।

 

সরেজমিনে উপজেলার বাগজানা, ধরঞ্জী, রতনপুর, নন্দইল, তাজপুর, আয়মারসুলপুর, কড়িয়া, কেশবপুর, বালিঘাটাসহ কয়েকটি আলু চাষের জমিতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

 

এ সময় কথা হয় উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা (গঙ্গাঁপ্রসাদ) গ্রামের কৃষক জয়দেব, হাজরা বেগম, উজ্জ্বল, হবিবর ও লিটনের সাথে। তারা বলেন, আগাম জাত হিসেবে আমরা রোপণ করছি ক্যারেজ ও কার্ডিলাল জাতের আলু। যা থেকে ৫০ দিনে ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় আলু চাষে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। ১ বস্তা আলুর বীজ ৫ বিঘা জমিতে রোপণ করা যায়। এবার আলুর বীজের দাম বেশি।

 

আরো জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও আলুচাষিরা আশাবাদী। আগাম জাতের আলু মাঠ থেকে উঠিয়ে প্রথম অবস্থায় খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হবে। এই বাজার দর স্থিতিশীল থাকলে তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখবে।

 

মোহাম্মদপুর গ্রামের তরুণ কৃষক মো. হানিফ বলেন, গত বছর আলুতে কিছুটা লোকশান হলেও এ বছর আলুর দাম বেশি থাকায় গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখেছি। এ কারণে এ বছর আমার প্রায় ২৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করছি। আশা করছি, এ বছরও অনুকূল আবহাওয়া ও ফলন যদি ভালো হয় তাহলে আগামীতেও লাভবান হব।

 

ঢাকারপাড়া গ্রামের কৃষক তরিকুল বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। গত বছরের ৫০ শতক জমিতে আলুর খরচ হয়েছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। এ বছর একই জমিতে খরচ হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে খরচ গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

 

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এ বছর প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুচাষ হচ্ছে। অধিক দামের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু আবাদে নেমে পড়েছেন। আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসেই এই আলু বাজারে পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version