-->

অধিক লাভের আশায় বিনিয়োগ, কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও

শিরিন জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
অধিক লাভের আশায় বিনিয়োগ, কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসায়ী, ওষুধ কোম্পানি ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও হয়ে গেছেন সুজাউদ্দীন নামে এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় রোববার রাতে ভুক্তভোগীরা আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

সুজাউদ্দীন যশোর সদর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আছির আলীর ছেলে। সে বৈবাহিক সূত্রে আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামে শ্বশুড় আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বসবাস করতেন।

 

ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা নিয়ে উধাও ব্যবসায়ী মিষ্টভাষি মো. সুজাউদ্দীন পৌর এলাকার হাইরোডে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ওষুধ ফার্মেসি ব্যবসা করতেন। তার অমাইক ব্যবহার আর মিষ্টিভাষার কারণে ব্যবসা করার সুবাদে এলাকার মানুষের সঙ্গে খুব দ্রুত তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুসম্পর্কের ফায়দা নিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে বেশি টাকা লাভ দেয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা নেন। তিনি স্থানীয় লোকজনকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে টাকা আয় করে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাসও দেন।

 

অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছে ১৪টি ওষুধ কোম্পানি পাবেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা, ব্র্যাক এনজিও পাবে ৭ লাখ টাকা, একতা ডেইলি সমিতি ২৭ লাখ টাকা, ফোর স্টার সমিতি ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতিবেশী কসমেটিকস ব্যবসায়ী ৪ লাখ টাকা, মোবাইল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

 

অভিযোগকারীরা ছাড়া আরও অনেকে রয়েছে যাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন ফার্মেসি ব্যবসায়ী মো. সুজা উদ্দিন। ভুক্তভোগীরাসহ এলাকাবাসী ধারণা করছেন, সুজাউদ্দীন প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, আমি সুজাউদ্দীনকে বিশ্বাস করে আমার টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমার টাকা নিয়ে উধাও। আমি এখন নিঃস্ব। আমাকে রাস্তার ফকির বানিয়ে চলে গেছেন তিনি।

 

ইবনে সিনা ফার্মার (এমআর) আসাদুজ্জামান ভোরের আকাশকে বলেন, ব্যবসায়িক সূত্রে কোম্পানির প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের আঁধারে তিনি পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে হাওয়া হয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ১৪টি ওষুধ কোম্পানি তার কাছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পাবে।

 

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ভোরের আকাশকে বলেন, থানায় কয়েকজন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের কয়েকটি টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পলাতক সুজাউদ্দীনকে আটকের জন্য।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version