-->
ময়মনসিংহে তিনটি আসন

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশী ৬০ জন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশী ৬০ জন

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ৬০ জন। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ২২ জন ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) থেকে ২১ ,ও ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) থেকে ১৭ ফরম সংগ্রহ করেছেন। নৌকা পেতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

 

নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্মেলন কিংবা কমিটি হয়নি। এতে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বিরাজ করছে বিশৃঙ্খলা, যা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রকাশ্যে এসেছে এবং বিপুলসংখ্যক মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছে। ময়মনসিংহ-৭ থেকে নৌকা চেয়ে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২২ জন। এ আসনে এতো সংখ্যক মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ আগে হয়নি। এ জন্য দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা, বিশৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

 

উপজেলায় বর্তমান এমপি রুহুল আমীন মাদানী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার, ত্রিশাল পৌরমেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন এবং সিআইপি আমিনুল হক শামীমের নেতৃত্বে আলাদা গ্রুপ সস্ক্রিয়।

 

এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, রুহুল আমিন মাদানী এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার, পৌরমেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, আইনবিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল হক শামীম, নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম মো. সামছুদ্দিন, সহসভাপতি এ এন এম শোভা মিয়া আকন্দ, হাবিবুর রহমান খান, ফজলে রাব্বি, আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহান খান, মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি সাইফুল ইসলাম মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা মিরান আলী, ডা. গোলাম মোস্তফা, মেজর জেনারেল (অব.) নজিব হাসান, এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন ও কামরুল ইসলাম।

 

ময়মনসিংহ-১১ থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পৌরমেয়র ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন, ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা রশিদ, সংরক্ষিত আসনের এমপি মনিরা সুলতানা মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ ওয়াহেদ, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহ আশরাফুল হক জজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামান সেলিম, রাজধানীর তেজগাঁও থানার মনিপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত ইসলাম চৌধুরী মিন্টু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ডা. এম আমানউল্লাহর স্ত্রী অধ্যাপক ডা. সাইদা আখতার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আনিছুর রহমান খান রিপন, সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তপু গোপাল ঘোষ, মোহাম্মদ আদনান খান ও শফিকুল ইসলাম খান।

 

নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান সরকার জানান, মনোনয়ন ফরম কেনাদের অনেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। দলীয় কর্মকান্ডে ও কখনও দেখা যায় না।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version