ঢাকার ধামরাইয়ে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আড়াই বছরের মেয়ে আজুয়া আক্তার। বর্তমানে সে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানায় অভিযোগ করেছেন আজুয়ার মা রিয়া আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবহান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুজন ও রিয়া আক্তার দম্পতি ধামরাই পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের খালেকহাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ দম্পতির আজুয়া নামের শিশুটি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। আজুয়াকে নিয়ে তার মা খোরশেদ আলমের ধামরাই ডায়াবেটিস সমিতি নামের ফার্মেসিতে আসলে খোরশেদ আলম ভল্টারিন নামের ২৫ পাওয়ারের ঔষধ দেন। ভল্টারিন নামের ঔষধ খাওয়ানোর পর শিশুটি বমি করতে থাকে।
স্থানীয়দের সহায়তায় শিশু আজুয়াকে প্রথমে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানকার দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ঔষধের মাত্রা বেশি ছিল। আজুয়ার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় আজুয়ার পরিবার।
ডায়াবেটিস সমিতি নামের ফার্মেসির মালিক খোরশেদ আলম ডায়াবেটিস সেন্টার চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এলাকাবাসীর অভিযোগ তার ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীর অসুস্থতা বেড়েছে। ডায়াবেটিস সেন্টারের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে খোরশেদ আলমকে ১৫ দিনের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আমিনুল ইসলাম বুলবুল ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য