বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার একটি ট্রলার গভীর বঙ্গোপসাগরে ‘এফবি রুনা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বলেশ্বর নদীর মোহনা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ট্রলারটির মালিক কামাল খান।
আজ সোমবার এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
গভীর বঙ্গোপসাগরে ডাকাত দল মাছসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ জেলেদের। একই সঙ্গে জেলেদের মারধর করে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে তারা। পরে আরেকটি ট্রলারের সহযোগিতায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটায় ফিরে আসে এফবি রুনা নামের ট্রলারটি।
এফবি রুনা নামের ট্রলারটির মালিক জানান, গত মঙ্গলবার ভোররাতে পাথরঘাটা থেকে ১২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যায় এফবি রুনা নামের ট্রলারটি। রোববার দুপুরের দিকে মাছ নিয়ে সমুদ্র থেকে পাথরঘাটার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ট্রলারটির জেলেরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াশার কারণে বলেশ্বর নদীর মোহনা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে ট্রলারটি।
তিনি আরও জানান, রাত ৯টার দিকে অন্য একটি ট্রলার এসে ২০ থেকে ২২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রসহ ট্রলারে হামলা চালায়। এরপরে জেলেদের মারধর করে আড়াই হাজার পিস ইলিশসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, সাড়ে ৪ লাখ টাকা সমমূল্যের জাল ও জেলেদের ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল ফোনসহ ট্রলারে থাকা রশদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ সময় ট্রলারটির মেশিন বিকল করে দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।
পরে আরেকটি ট্রলারের সহযোগিতায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটায় ফিরে আসে মাঝিমাল্লাসহ এফবি রুনা ট্রলারটি।
এফবি রুনা ট্রলারটি মালিক কামাল খান বলেন, জেলেদের মোবাইল লুট করে নিয়ে যাওয়ার কারণে তারা আমাকে বিষয়টি এর আগে জানাতে পারেননি। এ ঘটনায় আমি পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলেদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ডাকাত সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য