-->
ঘুষ লেনদেন

সেই অফিস সহায়ক এবং ইউনিয়ন উপসহকারীকে বদলি

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
সেই অফিস
সহায়ক এবং ইউনিয়ন উপসহকারীকে বদলি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাজিবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি খারিজ করতে ঘুষ লেনদেন করা সেই অফিস সহায়ক এবং অভিযুক্ত ইউনিয়ন উপসহকারীকে বদলি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী মো. সানোয়ার হোসেনকে গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এবং অফিস সহায়ক আহাম্মদকে হালুয়াঘাট ইউএনও কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

 

আজ সোমবার বিষয়টি ভোরের আকাশের ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান।

 

মাহবুবুর রহমান জানান, অফিস সহায়ক আহাম্মদের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা মিললে তাৎক্ষণিক তাকে শোকজ করা হয়। পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠালে অফিস সহায়ক আহাম্মদকে বদলির আদেশ দেন।

 

অপরদিকে উপসহকারী মো. সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর স্থানীয় ১২৬ জন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নায়েবের কাছে তাঁর লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়। পরে নায়েবের লিখিত বক্তব্যসহ ভুক্তভোগীদের অভিযোগের কপিটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালে নায়েবকেও বদলির আদেশ দেন।

 

এছাড়া ২৭ নভেম্বর নায়েব এবং অভিযোগকারীদের শুনানির তারিখ নির্ধারিত হলে অর্ধশত ভুক্তভোগী এতে উপস্থিত হন এবং নায়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে নায়েবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, নামজারি খারিজের সরকারি ফি ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু ওই খারিজ সম্পন্ন করতে রাজিবপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. সানোয়ার হোসেনকে ঘুষ দিতে হতো ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকারও বেশি।

 

তবে ঘুষের টাকা নায়েব নিজের হাতে না নিয়ে কৌশলে তার অফিস সহায়ক আহাম্মদ এবং তার প্রতিবেশী এক ভাতিজা হিরকের মাধ্যমে লেনদেন করতেন। সম্প্রতি খারিজের জন্য অফিস সহায়কের ঘুষের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। অন্যদিকে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার (নায়েব) বিরুদ্ধেও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ১২৬ জন ভুক্তভোগী। পরে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নায়েব এবং অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

 

ভোরের আকাশ/সু

মন্তব্য

Beta version