রাজবাড়ীতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে মাঁচা পদ্ধতিতে ‘গাছ আলু’ চাষ। সাধারণ আলুর চেয়ে পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এ আলু চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখের পাড়ায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন আহমেদ ২০ শতাংশ জমিতে ‘গাছ আলু’ চাষ করেছেন। মাঁচা পদ্ধতিতে চাষ করা এ আলু গাছে একেকটি আলুর ওজন দুই থেকে চার কেজি পর্যন্ত হয়।
কৃষক হুমায়ুন আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, আমি নিজে খাবার হিসেবে এ আলু ব্যবহার করে জানতে পেরেছি, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এ আলু রাখলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। সাধারণ আলুর চেয়ে গাছ আলুতে পুষ্টি বেশি, ফলনও হয় বেশি। বাজারে দামও পাওয়া যায় ভালো।
তিনি আরও বলেন, এ আলুর চারা যেকোনো গাছের গোড়ার একটু দূরে রোপণ করলে আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওই গাছ বেয়ে ওপরে ওঠে আলু ধরতে থাকে। আলু গাছ রোপণের মাস তিনেক পর থেকেই গাছে আলু ধরতে শুরু করে। গাছের ডগায় ও মাটির নিচে গোড়ায় আলু হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই আলু ধরে। প্রতিটি গাছে প্রতিবার আট থেকে ১০ কেজি আলু পাওয়া যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল জাতীয় ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় আমরা উচ্চমূল্যের ফসল সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দে বাণিজ্যিকভাবে গাছ আলু চাষ করে কৃষকদের সফল হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য