-->
শিরোনাম
মুক্তাগাছা-বিদ্যাগঞ্জ

সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ

মীর বাবুল, ময়মনসিংহ
সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ
এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের দৃশ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা-বিদ্যাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে দায়সারা কাজ করার অভিযোগ এলাকাবাসীর।

 

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলেছে, অভিযোগের পর সড়ক থেকে নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

মুক্তাগাছা শহরের সঙ্গে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ বাজারের সংযোগ সড়ক এটি। মুক্তাগাছা থেকে বিদ্যাগঞ্জের দূরত্ব সাত কিলোমিটার। এ সড়কের দেখভাল করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘেঁষেই বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নদের দুই পাড়ে বৃহৎ চরাঞ্চল। স্থানীয়দের কৃষিপণ্য বিদ্যাগঞ্জ বাজার হয়ে মুক্তাগাছায় আনা হয় বিভিন্ন যানবাহনে।

 

সড়কটি ছিল ১২ ফুট প্রশস্ত। ছোট সড়কে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়ায় ১৮ ফুট প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও মুক্তাগাছা উপজেলার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সড়কের কাজ। মুক্তাগাছা শহরের ফার্মের মোড় থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের দায়িত্ব পায় প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

 

নয়াবাজার থেকে প্রশস্তকরণ শুরু হয়েছে। এ কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিন সড়কের এরাইচতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের দৃশ্য।

 

তারাটির এরাইচতলা এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসাইনের ভাষ্য, সড়কে সবচেয়ে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের জানানোর পরও কাজ বন্ধ করা হয়নি। বরং অভিযোগের তোয়াক্কা না করে দায়সারাভাবে কাজ শেষ করছেন ঠিকাদার।

 

নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা ফুয়াদ হাসান জানান, সড়কটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে উন্নীত হওয়ায় এলাকাবাসী খুশি। সহজেই বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে সড়কে। এ অঞ্চলের কৃষি ফসল ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো সহজ হবে। তবে যেভাবে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে হচ্ছে, তাতে বেশিদিন টেকসই হবে না বলে ধারণা তাদের।

 

নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রীতি এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার অপু মিয়া। তার ভাষ্য, কয়েকটি স্থানে কিছু নিম্নমানের খোয়া ফেলা হয়েছিল। পরে সেসব খোয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

মুক্তাগাছা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে ফেলাসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version