কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আবাদি উঁচু জমিতে, বাড়ির পাশে এবং বিভিন্ন গাছে বা বাড়ির আঙিনায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার। এক সময় ইউনিয়নজুড়ে দেখা যেত ধানের জমি, এখন সেখানে চোখে পড়ে পানের বরজ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ১২হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা, আর তা বিক্রি হয় ১০-১২ লাখ টাকায়। উপজেলায় সুরাটি, হারেঞ্জা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫শ পান চাষি রয়েছে।
উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে অসংখ্য পানের বরজ রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত পান উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া, নান্দাইল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এরই মধ্যে উপজেলা পানপল্লী খ্যাত সুরাটি, সিদলা, জাহাঙ্গীর পুর, পিতলগঞ্জ, বরুয়া, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পান চাষ করে বদলে দিয়েছে গোটা উপজেলার পরিবেশ। ওই উপজেলার পান চাষি তার শ্রম কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছে তাদের পরিবারের ভাগ্য।
শনিবার সিদলা ইউনিয়নের সুরাটি গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ পানের বরজ, কেউ খেত থেকে পান তুলছেন, কেউ করছেন খেতের পরিচর্যা। কথা হয় সুরাটি গ্রামের পানচাষি তমিজ মিয়ার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘পান আমার কষ্ট দূর করছে। এখন গোয়ালে গরু আছে, ডুলিভরা ধান, আর জমি ভরা পান আছে। সবমিলে আমার সুখের সংসার।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একে এম শাহজাহান কবির জানান, পান লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবার উৎপাদিত পান থেকে প্রচুর আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পান চাষ করতে গিয়ে কৃষক কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হলে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য