জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খুলনার পাইকগাছার উপকুল অঞ্চলে মারাত্মক বৈরী প্রভাব পড়েছে। বিপন্ন হচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য। হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। উপকুল বেষ্টিত পাইকগাছা ও কয়রা কয়রা অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অঞ্চল জলোচ্ছাস, বন্যা ও খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়। বেড়ে গেছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় গত ৫০ বছরের মধ্যে চলতি বছর সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উঁচু হয়ে গেছে নদ-নদীর তলদেশ।
বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কমে গেছে কৃষি ফসল, হারিয়ে গেছে স্বাদু পানির সুস্বাদু কৈ, শৈলের মত মাছ। বিপন্ন হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা। কমে গেছে ডাব- নারকেলসহ বিভিন্ন ফলের ফলন। হারিয়ে যাচ্ছে অতি পরিচিত দোয়েল, কোয়েল শ্যামা পেঁচা,শালিক টিয়া ও কাক ও শকুনদের মত পাখি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নেমে গেছে পানির স্তর, দেখা দিয়েছে অতি মাত্রায় লবণাক্ততা ও আর্সেনিক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিতীশ চন্দ্র গোলদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা বেসরকারি সংস্থা ডরপ্ ও সুশীল পানিই জীবন প্রকল্প এসব বিষয় নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন বলে সংস্থার উপজেলা সমন্বয়ক সায়েম হোসেন জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোঃ আব্দুর রব বলেন, একারণে পরিবেশ বিপন্ন, হারিয়ে যাচ্ছে জীব বৈচিত্র্য, জলভূমি হচ্ছে মরুভূমি। যার প্রভাব বেশি পড়ছে উপকুল অঞ্চলে।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবির ভোরের আকাশকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে স্বাদু পানির খাদ্য শস্য হারিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দরকার সরকারের পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য