-->
শিরোনাম

শুকনো মৌসুমেও হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে রাস্তা পার

কুমিল্লা প্রতিনিধি
শুকনো মৌসুমেও হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে রাস্তা পার

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শুকনো মৌসুমে হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে রাস্তা পারাপার হয় হাওরা গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। কি বর্ষা, কি শীত? বছরজুড়ে থাকে এখানে জলাবদ্ধতা। সড়ক পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার শিকার হতে হচ্ছে উপজেলার বাইশগাঁও ইউপির হাওরা গ্রামের মানুষের। যেন দুঃখই তাদের ছাড়ছে না।

 

রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী।

 

সরজমিনে দেখা যায়, বাইশগাঁও ইউপির হাওরা গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির মানুষ জলবদ্ধতার মধ্যে আছে। শুকনো মৌসুমে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। অথচ এ রাস্তার দক্ষিণে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি নূরানি মাদ্রাসা।

 

প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীরা হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে রাস্তাটি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত ছাত্র-ছাত্রীর পাঠ্যবই পানিতে পড়ে ও জামা-কাপড় নষ্ট হচ্ছে। আবার কোনো ছাত্র-ছাত্রী পানিতে ভিজে জামা কাপড় নিয়ে বাড়ি ফিরছে।

 

গ্রামবাসী আবুল বাশার বলেন, এ সরকারের আমলে সব জায়গাই উন্নয়ন হয়েছে, শুধু ভাগ্য বদলায়নি আমাদের। গত ২০ বছর ধরে হাওরা গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। ৫০ বছর পূর্বে একটি বিশাল বেরুলা নামের খাল ছিল। এ খালটি দিয়ে নৌকা করে মানুষ চলাচল করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতেন। সেটি হাওরা গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল। গ্রামবাসী যার যার বাড়ির পাশে খালটি দখল করায় খালটি এখন অস্তিত্বসংকটে। আমরা গণস্বাক্ষর করে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত করেছি। তাতেও কোনো সুফল পাচ্ছি না।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ঘাগুরিয়া নদী থেকে ডাকাতিয়া নদী সংযোগ খাল বেরুলা খাল। খালের দুপাশ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভোগদখলে চলে যায়। যার কারণে হাওরা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি সারা বছর পানির নিচে থাকে। স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অধিকাংশ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তিনি এ খালটি পুনঃসংস্কার করে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানান।

 

বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, হাওরা মধ্যপাড়া চলাচলের রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যাওয়া। মানুষজনের যাতায়াতের কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মৎস্য খামারের মাছগুলো পানির সাথে বেরিয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করেছি। স্বল্পসময়ের মধ্যে এর একটা সুব্যবস্থা করা হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা ভোরের আকাশকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অবৈধ দখলদারদের নামের তালিকা করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তাটি পাকা করার জন্য উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে আলোচনা করব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version