-->
শিরোনাম

আজ বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আজ বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস

আজ ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চলে বৃহত্তর লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস। বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মাসের শুরু। ১৯৭১ সালের এ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে নিয়ে এসেছিল এক মহান অর্জনের আনন্দ। ’৭১ এর এ মাসেই পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় এ অঞ্চল।

 

পাক লোকজনের সু-দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্চনা আর অত্যাচার-নির্যাতনের কবর হয় বিজয়ের এ মাসেই। পাকবাহিনীর কবল থেকে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা এ দিনে লাকসাম হাইস্কুল মাঠে তৎকালীন ছাত্রনেতা মরহুম নজির আহমেদ ভুঁইয়া প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন।

 

দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আগামী দিনে তরুণ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে অবহিত হতে পারে এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কোনদিন ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালা স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। তাহলেই শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার-আলবদরদের চূড়ান্ত তালিকা সংরক্ষন করা সম্ভব বলে দাবি স্থানীয় একাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের।

 

যুদ্ধকালীন সময়ের এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা দুঃখ করে বলেন, লাকসামে ৬৪, মনোহরগঞ্জে ৫৯, নাঙ্গলকোটে ৯৪, সদর দক্ষিনে ৫৩ ও বরুড়ায় ৩৯ জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম নিয়ে যথেষ্ট তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে বর্তমান সরকারের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই-বাছাই নিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় পকেট বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ভাতা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার-আলবদরদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরী নিয়ে রয়েছে হাজারো বির্তক। বর্তমানে নানাহ কারণে সরকার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version