-->
শিরোনাম

জয়পুরহাটে হানাদার মুক্ত দিবস পালন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে হানাদার মুক্ত দিবস পালন

১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাটে পালিত হয়েছে হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল জয়পুরহাট।

 

বৃহস্পতিবার সকালে এ দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে পাগলা দেওয়ান ও কড়ইকাদীপুর বধ্যভুমিতে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলাবাসী।

 

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঘা বাবলুর নেতৃত্বে অকুতোভয় একদল মুক্তিযোদ্ধা ভূঁইডোবা সীমান্ত দিয়ে পাঁচবিবিতে প্রবেশ করলে পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এদিন মুক্তিযোদ্ধারা জয়পুরহাট পৌছে ডাকবাংলো মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে জেলাকে হানাদার মুক্ত যোষণা করেন।

 

১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথম সান্তাহার থেকে রেলযোগে পাকসেনারা জয়পুরহাটে এসে এ দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় দুটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি দল পাঁচবিবি গোহাটিতে আক্রমন করে এবং পরদিন পাগলা দেওয়ান ও ক্ষেতলালের চরবাখরা ব্রিজ এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে। পাগলা দেওয়ানের অক্ষত এই বাংকারটি আজো সেই ভয়াল স্মৃতি বহন করে চলেছে।

 

এখানেই শেষ নয়, ২৬ এপ্রিল সদর উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা কড়ই-কাদিপুর গ্রামে এ দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় ৩৭১ জন মৃৎশিল্পীকে ধরে এনে বায়োনেট নিয়ে খুঁচিয়ে ও লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এখনো পাকসেনাদের বর্বর নির্যাতন, খুন ও ধর্ষনের দুঃসহ স্মৃতি মনে করে শিহরে ওঠেন অনেকেই।

 

এ উপলক্ষে কড়ইকাদীপুর বধ্যভুমি স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভির গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জয়পুরহাট ২৫০ সজ্জা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম.এ মামুন খান চিশতী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমিনুল হক বাবুল আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

 

ভোরের আকাশ/ সু 

মন্তব্য

Beta version