-->
শিরোনাম

নোংরা ও জরাজীর্ণ জামতৈল রেল স্টেশনের বিশ্রামাগার

৩ বছরেও খোলেনি তালা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নোংরা ও জরাজীর্ণ জামতৈল রেল স্টেশনের বিশ্রামাগার
দুর্ভোগে ট্রেনযাত্রীরা

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াতে অনেকক্ষণ ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় জনৈক ট্রেনযাত্রী তার সাত বছরের বাচ্চাকে নিয়ে এদিক ওদিক ছুটছে। অবশেষে দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য স্টেশনের একমাত্র বিশ্রামাগারের কাছে এসে দেখেন, তালা ঝোলানো। পাশের লোককে তালার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলে দিলেন, ভিতরে নোংরা আর অপরিষ্কার। পাশে থাকা আরেকজন বললেন, তিন বছর ধরে এখানে তালা ঝুলতে দেখছেন তিনি।

 

গত তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত জামতৈল রেলস্টেশনের একমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারটি। বারবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও মিলছে না সুফল। যাত্রীদের বসার অনুপযোগী, ভিতরে নোংরা, দুর্গন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে বিশ্রামাগারটি। অধিকাংশ সময় তালাবদ্ধ থাকে এ কক্ষটিতে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা ট্রেনযাত্রীদের। অনেক ট্রেনযাত্রী বিশ্রামাগারটিতে বিশ্রাম নিতে ও টয়লেট করতে না পেরে অবশেষে স্টেশনের আশপাশে খোলা জায়গায় বাধ্য হয়েই টয়লেটের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়। এতে করে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে নিয়মিত।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জামতৈল রেলস্টেশনের দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ। টিকেট কাটার পর স্টেশনের বিশ্রামাগারটিতে বিশ্রামের পরিবেশ না থাকায় আশপাশে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। আবার দীর্ঘক্ষণ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করার পর অনেকেই টয়লেট সারতে খোঁজ করেন গণশৌচাগারের। কিন্তু স্টেশনের বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ থাকায় ও আশপাশে কোনো গণশৌচাগার না থাকায় চরম ভোগান্তীতে পড়েন যাত্রীরা।

 

ঢাকাগামী ট্রেন যাত্রী নাজমা আক্তার ভোরের আকাশকে বলেন, স্টেশনের একমাত্র বিশ্রামাগারটি নোংরা ও তালা ঝোলানো থাকে। ভিতরে বসার ব্যবস্থা থাকলে যাত্রীরা এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করত না। অবহেলিত হয়ে আছে স্টেশনের এ বিশ্রামাগারটি।

 

ঢাকাগামী ট্রেন যাত্রী ব্যাংকার আশিক সাহা ভোরের আকাশকে বলেন, অনেক সময় ট্রেন আসতে দেরি হয়, তখন আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরিবার নিয়ে যে বসবো অথবা পরিবারের কারো টয়লেট করার প্রয়োজন হলে তখন উপায় থাকে না। কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানাচ্ছি।

 

জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আবু হান্নান ভোরের আকাশকে জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জামতৈল স্টেশনের বিশ্রামাগারটি ব্যবহারের উপযোগী করতে রেলওয়ে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তিন বছর অতিক্রম হলেও বিশ্রামাগারটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

 

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চলের রেলবিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল ভোরের আকাশকে বলেন, জামতৈল রেলস্টেশনের বিশ্রামাগারটি নিয়ে আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এটা ঠিক করে দেওয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version