-->
শিরোনাম

প্রকৃতিতে শীতের আবহ, বেড়েছে কম্বল ও লেপ-তোশকের চাহিদা

মো. ইব্রাহিম শেখ, চট্রগ্রাম
প্রকৃতিতে শীতের আবহ, বেড়েছে কম্বল ও লেপ-তোশকের চাহিদা
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনের কম্পোর্টার বিক্রেতারা

প্রকৃতিতে এখন শীতের আবহ। বিশেষ করে ভোররাতের দিকে কনকনে হিমশীতল আবহাওয়ার কারণে নগরবাসীর কম্বলের সাথে সখ্যতা বাড়ছে। তবে গ্রামাঞ্চলে এই শীতের অনুভূতি আরো বেশি। তাই বাড়ছে লেপ-তোশক ও কম্বলের চাহিদা।

 

শীতের মাঝে উষ্ণতার খোঁজে নগরবাসী ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। লেপ-তোশকের কারখানাতে এখন কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। শীতের মাত্রা বাড়ার পর থেকে অনেকে পুরনো লেপ-তোশক নতুন করে মেরামত করতে আসছেন বলে জানান কারখানার কারিগররা।

 

লেপ-তোশকের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লেপের আকার অনুযায়ী বর্তমানে মজুরি পড়ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসেবে লেপ ৪ হাত বাই ৫ হাত পড়ছে প্রায় ২ হাজার টাকা, সিঙ্গেল ৩ হাত বাই ৫ হাত লেপ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। সিঙ্গেল তৈরি তোশক সোয়া দুই হাত বাই সাড়ে ৪ হাতের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা। ৪ হাত বাই ৫ হাত তৈরি তোশকের দাম প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকায়।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি পুরাতন গির্জা এলাকার লেপ তোশকের বিক্রেতা বলেন, শীতের সময় লেপের চাহিদা বাড়ে। এখন দেশি-বিদেশি কম দামি বিভিন্ন কম্পোর্টার ও কম্বলের কারণে লেপের ব্যবসা আগের চেয়ে কমে গেছে। শীতে তোশকের ব্যবসা খুব বেশি ভালো হয় না।

 

জহুর হকার্স মার্কেটের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, শীতকাল হলো কাপড় মৌসুমী ব্যবসা। এই ব্যবসায় আগের চেয়ে প্রতিযোগিতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাই মুনাফাও কম। বাজারে এখন কম্পোর্টারের চাহিদা বেশি। কম্পোর্টার মূলত পলয়েস্টোর কাপড় ও তুলার সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। এছাড়া কোরিয়া ও থাইওয়ান থেকে পুরনো ব্যবহৃত কম্বলের কাছেও বাজার হারাচ্ছে লেপ।

 

রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী অলি উল্লাহ বলেন, লেপ তৈরিতে খরচ বেড়েছে। সাধারণত আমরা রেডিমেড লেপ-তোশক খুব বেশি তৈরি করি না। প্রায় সব অর্ডার নিয়ে করি। তবে বর্তমানে শিমুল তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোশক তৈরিতে খরচ পড়ছে বেশি। তাই অনেকে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকায় কম্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে কথা হয় লেপের বিকল্প কম্পোর্টার বিক্রেতা হোসেন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গত দু’দিন ধরে বেচাবিক্রি বেড়েছে। আমাদের এখানে আকার ভেদে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার কম্পোর্টারও পাওয়া যাচ্ছে।

 

নিউমার্কেট এলাকার বিক্রেতা রাইসুল ইসলাম বলেন, কম্বল বিক্রি বেড়েছে। তবে আমদানি খরচ বাড়ার কারণে দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। বর্তমানে সিঙ্গেল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ডাবল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার ডিজাইনভেদে কম্বলের দাম আরো বেশি।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version