পর্যটকে ভরপুর সাজেক, ঠাঁই নিতে হচ্ছে মন্দিরসহ বাড়িঘরে। মেঘের রাজ্যখ্যাত রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকভ্যালিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকে টইটুম্বর সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র। বাড়তি চাপে হিমশিম খাচ্ছে রিসোর্ট মালিকরা। থাকার জন্য রুম না পেয়ে ফেরতও গেছেন অনেক পর্যটক।
সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই সাজেকের হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে যায়। এবার প্রচুর পর্যটক সাজেক যান। যাদের মধ্যে অনেকেই আগাম রুম বুকিং না করেই সাজেকে গিয়েছেন, তাই রুম না পেয়ে রাতে স্থানীয় গ্রামগুলোর বাসাবাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে পর্যটকদের।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা ভোরের আকাশকে বলেন, সোমবার প্রচুর পরিমাণ পর্যটক এসেছেন সাজেকে। আমাদের কটেজগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। যারা বুকিং না করে এসেছিলেন তাদের রুম পেতে কষ্ট হয়েছে বলে জেনেছি। সব মিলিয়ে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক এসেছেন, কিছু পর্যটক চলে যাবেন। তবে যে পরিমাণ পর্যটক সাজেক ছাড়বেন তারচেয়ে বেশি আসবেন।
সাজেক মেঘকাব্য রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আদিব চাকমা বলেন, আমার জানামতে মোটামুটি বেশিরভাগ পর্যটকই রুম পেয়েছেন। যারা পাননি তাদের জন্য রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতি মাইকিং করে ক্লাবঘরে এবং মন্দিরে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে দুই হাজারেরও বেশি পর্যটক সাজেক আছেন, আজকে আরও আসবেন।
খাগড়াছড়ি-সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাতও আব্দুল মান্নান বলেন, সম্প্রতি জিপ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে প্রায় ২৫০ এর মত গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি প্রায় ১৫০ এর মতো মোটরসাইকেলও ছিল। পর্যটকদের এই বাড়তি চাপের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়নি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক আসলেই রুম না পাওয়া বা বাইরে থাকার মত সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে। যেহেতু সাজেকে মূল সমস্যা হচ্ছে পানি, তাই অতিরিক্ত পর্যটক আসলে পানির কারণেও অনেককে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তিনি ভোরের আকাশকে আরও বলেন, বর্তমানে সাজেকের সবকটি রিসোর্ট কটেজের অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু আছে। তাই পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়ে আসলেই ভালো, নতুবা সমস্যায় পড়তে হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে বিশেষ করে টানা বন্ধের দিনগুলোতে সাজেকে আগাম বুকিং দিয়ে আসার জন্য।
সাজেকে মোট ১১২টির মতো রিসোর্ট কটেজ রয়েছে যেখানে তিন হাজারের মতো পর্যটক থাকতে পারে। কিন্তু সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের তথ্যমতে তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক সাজেক গিয়েছেন সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই সাজেকের হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে যায়। এবার প্রচুর পর্যটক সাজেক যান। যাদের মধ্যে অনেকেই আগাম রুম বুকিং না করেই সাজেকে গিয়েছেন, তাই রুম না পেয়ে রাতে স্থানীয় গ্রামগুলোর বাসাবাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে পর্যটকদের।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য