-->
শিরোনাম

কালকিনিতে বোমা হামলার ঘটনায় বাড়িঘর লুটপাট

মাদারীপুর প্রতিনিধি
কালকিনিতে বোমা হামলার ঘটনায় বাড়িঘর লুটপাট

মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বোমা হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

 

জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

 

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

অন্যদিকে একই সময়ে কালকিনি পৌরসভার চরঠেঙ্গামারা এলাকায় নৌকার সমর্থন করায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িসহ বেদে পল্লীর অন্তত ১৫টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

 

 

স্থানীয়রা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে পরাজিত করে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। সোমবার সকালে তাহমিনার সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালিগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারের যাবার পথে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

ঈগলের সমর্থক ও আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন, আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজের নেতৃত্বে আমাদের বিজয় মিছিলে অতর্কিত বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তবে হামলা বিষয় অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজ।

 

অন্যদিকে কালকিনি পৌরসভার চর ঠেঙ্গামারা এলাকায় নৌকার প্রার্থী আব্দুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থন করায় বেদে সম্প্রদায়ের অন্তত ২০টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

 

 

কালকিনি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারী দাবী করেন, নৌকায় ভোট দেয়ার কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু ও ছাত্রলীগ সভাপতি বাকামিনের নেতৃত্বে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে।

 

এবিষয়ে কালকিনি থানার ওসি সরকার আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

 

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version