ব্যাপক মাত্রায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চল। সাথে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বিদ্যমান থাকায় ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়াসহ জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বুধবার সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। দুপুর ১১টা পর্যন্ত কোন সৈয়দপুরে অবতরণ করেনি। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে তিনটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছেন কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই।
এদিকে সড়কে সকল প্রকার যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ট্রেনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। দুপুরেও দেখা মেলেনি সূর্যের আলোর। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে লোকজনের সমাগম ঘটেনি। ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী ও খেটে খাওয়া হতদরিদ্র দিনমজুর মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিকাল নাগাদ ঘন কুয়াশা কেটে যেতে পারে। তার আগে বিমান উঠানামা স্বাভাবিক নাও হতে পারে। ফলে এই দীর্ঘ সময় একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হবে। ইতোমধ্যে আটকা পড়া যাত্রীরা বেকায়দায় পড়ে হতাশায় ভুগছে।
আবহাওয়া অেিফর কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সাধারণত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার থাকতে হয়। কিন্তু মধ্যরাত থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। যে কারণে দুপুর ১২টার দিকেও রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৬০০ মিটার। যা ফ্লাইট উঠানামার জন্য যথেষ্ট নয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ রয়েছে ৯৩ শতাংশ। কুয়াশা কেটে বিমান উঠানামার উপযোগী হতে বিকেল অবধি সময় লাগতে পারে।
বিমানবন্দরে অবস্থানরত যাত্রীদের অনেকে জানান, সেই সকাল থেকে বসে আছেন তারা। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছেন না। অনেকে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরতে আগাম টিকিট কেটেছেন। তাদের সময় ও অর্থ দুটোই বরবাদ হচ্ছে বলে জানান।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ওই সব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি ছিল। তবে এসব ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা এখনো নেই। কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য