-->
শিরোনাম

বোরো রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

১৮৫ ক্লোজারের মধ্যে ৩৫টিতে কাজ শুরু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
বোরো রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
হাওরের ফসল ঝুঁকির মুখে

পুরোদমে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় বোরো ফসল রক্ষা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।

 

জানা গেছে, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর সময়সীমা ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বেশির ভাগ বাঁধ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে পানি নেমে গেছে। তবে কাজ শুরু দূরের কথা, জেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজারে (গভীর ভাঙন এলাকা) এখনও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়নি।

 

জেলার ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বাঁধের সুরক্ষায় ৭৩৩টি বাঁধের কাজ এবার ৭৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করার কথা। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া রি প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

সম্প্রতি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দায়িত্বশীলরা জানান, জেলাব্যাপী ১৮০টি ক্লোজারসহ ৭৩৩টি বাঁধের কাজ করার জন্য ৬৩৩টি পিআইসি গঠন হয়েছে। বাকিগুলো এখনো হয়নি। বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে ১৮৫টি এলাকায়। এর মধ্যে ৩৫টি রয়েছে ক্লোজার।

 

জেলার জামালগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জনি জানান, ওই উপজেলার ৪৩টি প্রকল্পের মধ্যে ৪০টির প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন হয়েছে। ১৬টি ক্লোজারের মধ্যে তিনটিতে কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাহিরপুরে গেল পাঁচ জানুয়ারি কেবল ৮২টি বাঁধের কাজের জন্য ৮২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন হয়েছে। তবে এখনো এই উপজেলায় উল্লেখ করার মতো কাজ শুরু হয়নি।

 

জেলা সিপিবির সভাপতি এনাম আহমদ জানান, পাউবোর দায়িত্বশীলরা হাওর রক্ষা বাঁধের যে অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন। বাস্তবে অগ্রগতি আরও কম। এবার হাওরের ফসল রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।

 

হাওরপারের সম্ভাব্য বাঁধ এলাকা ঘুরে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কথা জানান গেছে। দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের রাজাপুরের বড় কৃষক ছত্তার মিয়া জানান, দিরাই উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারগুলোর মধ্যে অন্যতম বরাম হাওরের বৈশাখী বাঁধ। এই বাঁধেও পর্যন্ত পিআইসির লোকজনকে দেখা যায়নি। এই বাঁধের কাজ সময়মতো করা না হলে দিরাইর বিশাল বরাম ও উদ্গল হাওরের ফসল ঝুঁকির মুখে পড়বে।

 

জেলার জামালগঞ্জের হালি, শনি ও মহালিয়া হাওরের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি গভীর ভাঙন তথা ক্লোজারের সৃষ্টি হয়েছে। এসব হাওরপাড়ের কৃষকরা জানিয়েছেন, একটি ক্লোজারেও উল্লেখ করার মতো কাজ শুরু হয়নি।

 

পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ৩৫টি ক্লোজারসহ ১৮৫টি বাঁধে কাজ শুরু হয়েছে দাবি করে জানান, নির্বাচনের জন্য বাঁধের কাজের গতি কম ছিল। এখন দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version