নওগাঁর বদলগাছীতে সরিষার হলুদ ফুলে প্রকৃতি ও মাঠ যেন সেজেছে নববধূ রূপে। ফুলের ঘ্রানে মৌমাছি মধু আহরণে ছুটছে এগাছ থেকে ওগাছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার সব এলাকাতেই সরিষা চাষ করেছে কৃষকেরা।
এর মধ্যে মথুরাপুর ইউপির গোবরচাপা এলাকা ও কাস্টগাড়ি বিলে সরিষার চাষাবাদ যেন চোখে পড়ার মতো। সরিষার ক্ষেতে চোখ পড়লে মনে হয় যেন পুরো মাঠ হলুদ বর্ণে নববধূ রূপে সাজিয়েছে। মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলের সমারহে নজরকারে পথচারীদের। সরিষা ক্ষেত দেখলেই বিনোদন প্রেমি নারী পুরুষ ছবি তুলতে নেমে পড়ে ক্ষেতে।
এ উপজেলায় বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ এবং বিনা সরিষা-৪ ও ৯ জাতের সরিষার চাষাবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করা যায়। এতে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছে কৃষক।
বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সব এলাকাতেই কমবেশী সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। কোন কোন জমিতে সরিষার গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে আবার কোনো জমিতে পুরো ফুল ফুটেছে, সরিষার ফল ধরেছে। আগাম সরিষা ক্ষেতের ফুল ঝড়ে পড়েছে। ফলের ভিতর সরিষার দানা গঠন হয়েছে। চাষিরাও যেন দুচোখে দেখছে শুধুই শর্ষ্যে ফুল তবে সেটা বিপদের নয় আনন্দের।
তথ্য সংগ্রহকালে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকাশের বৃষ্টি হলে সরিষা চাষাবাদ ব্যাহত হয়। চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূল থাকায় সরিষার ক্ষেত ভালো হয়েছে। কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশাবাদী।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে সরিষা ফুলে যদি মৌমাছি না বসে তাহলে ফলন ব্যাহত হবে এবং দানা মরা হবে। ফুলে যত বেশি মৌমাছি বসবে তত পরাগায়ন হবে। সরিষার ফলন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩শ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে সরিষা চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান, স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা তেল জাতীয় ফসল আমদানি করার জন্য সরিষা চাষকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের জন্য ৫ জন কৃষকের মাঝে মৌবাক্স সরবরাহ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য