-->
শিরোনাম

ভোলায় শীতজনিত রোগাক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় শীতজনিত রোগাক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
২৫০ শয্যা ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতাল
দেশব্যাপী শীতের যে তীব্রতা চলছে তা থেকে দ্বীপজেলা ভোলাও মুক্ত নয়। গত কয়েকদিন ধরে দ্বীপটিতে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠা-নামা করছে। শীতের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
 
 
গত এক সপ্তাহে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, হাপানী, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত  হয়ে ১ হাজারেরও বেশী শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছে ৭৭ জন।
 
 
রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, একটি বেডে ২/৩ জন শিশুকে রেখে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।  এ ছাড়া হাসপাতালে আসার পর শিশুদের আরো বেশী ঠান্ডা লাগছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
 
 
শিশুরোগীর বাবা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগে আমার শিশু অসুস্থ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে ভর্তি আছে ঠিকই, কিন্তু বেড পাইনি। তাই কষ্ট করে অন্যদের বেডে বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। 
 
 
শিশুরোগীর মা লাইজু বেগম বলেন, আমার বাচ্চা ঠান্ডা জনিত রোগে অসুস্থ হয়েছে। এজন্য হাসপাতালে নিয়ে আসছি। হাসপাতালেও ঠান্ডা। এখানে ঠিকমতো চিকিৎসাও পাইনা, ওষুধ পাই না। 
 
 
রোগী স্বজন ইমতিয়াজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীর জন্য সিট আছে ৩০ টার মতো। অথচ রোগী আছে ৬০ থেকে ৭০ জন। এক বেডে দুই-তিনজন করে রোগী চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে আমরা অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
 
 
এদিকে এতো বিপুল সংখ্যক শিশুর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
 
 
২৫০ শয্যা ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা হচ্ছে ৩০ টি। অথচ প্রতিদিন রোগী আসছে শতাধিক। আজ মঙ্গলবার শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছে ৭৭ জন। এর মধ্যে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জন। ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২৩ জন। শিশুদের যাতে ঠান্ডায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে না হয় সেজন্য অন্য ওয়ার্ড থেকে আরো ৩৪ টি বেড এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তাতেও সকল শিশুর জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version