সংবাদ প্রকাশের জেরে বরগুনার তালতলী উপজেলার এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন নাইম ইসলাম। তিনি তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি।
রোববার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন বরগুনার তালতলী উপজেলার করইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তালতলী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর কালবেলা অনলাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘অফিসকে সংসার বানিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা!’ শিরোনামে ভিডিও সংবাদ প্রকাশ হয়। পরদিন ওই সংবাদ নিজের ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেন বিবাদী। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বাদীর অভিযোগ, ভিডিওতে বিভিন্নজন বাজে মন্তব্য করে। এতে তার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়। ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালে বিবাদী তা অস্বীকার করেন। তখন আমতলী বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশি অভিযোগ দেন বাদী। পরে বিচারিক হাকিমের নির্দেশে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নাঈম ইসলাম বলেন, তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দাখিল, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছেমতো টাকা আদায় এবং ভূমি অফিস দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোসা. খালেদা নামে স্থানীয় এক নারী তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কার্যালয়ে এমন অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এর জেরে ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন এই ভূমি কর্মকর্তা। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।
তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ভূমি কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুর্নীতি করবে আবার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাও করবে এটা মানা যায় না। ওই রুহুল আমিনের খুঁটির জোর কোথায় তা বের করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজের পরিবার নিয়ে বসবাস করবে। সরকার উন্নয়ন করে আর এদের পকেট ভরে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য