পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস আহরণে ব্যস্ত গাছীরা। সকালের কুয়াশা ভেদ করা ভোরের সূর্যের লাল অভায় আর পাঁখিদের কিচিরমিচির ডাকে উষ্ণ বিছানার মিতালি ছেড়ে জীবিকা নির্বাহে গাছিরা নেমে পড়ে খেজুর রস আহরণে।
১৫ বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এঅঞ্চলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দিলেও গত তিন চার বছরের তুলনায় এবছর গাছে রস মিলছে। কুয়াশা মাখা শীতের ভোরে ও শেষ বিকেলে রস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে গ্রামগঞ্জের গাছিদের। শীত যত বাড়বে রসের স্বাদ তত বাড়বে।
গাছিরা তাল পাতার ঢোলা বানিয়ে ভেতরে গাছ কাঁটার দাঁ ’কাচি ও যাবতীয় সরঞ্জাম ভরে কোমরের সাথে মোটা রশি বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের প্রতিটা মুহুর্ত চষে বেড়ায় এগাছ থেকে ও গাছে। এভাবেই গত ২০ বছর ধরে গাছ কেঁটে রস সংগ্রহ করাই যেনো তার পেশা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলেকে নিয়ে সারা দিনের পরিশ্রম করে হাঁড়ি ভর্তি রসে যেনো মুখে হাঁসির দেখা মিলছে।
স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করে রস দিয়ে মিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে বিভিন্ন হাট বাজারে। শীতের শুরু থেকে গাছের পরিচর্যা করে এবং পুরো শীত মৌসুমে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন গাছিরা। পাটালি গুড় তৈরি করে বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি করে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে সরেজমিনে গাছি ফয়সালুর রহমান বলেন, সে প্রতি বছর খেঁজুর গাছ কেঁটে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। এ সময়টাতে তিনি খুব বেশী ব্যস্ত থাকেন সংসাওে স্বচ্ছলতা থাকে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর রস দিয়া শীতের পিঠা ও পায়েস তৈরি হয় এবং রস দিয়ে বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। জীবিকা নির্বাহে হাঁড়ি ভর্তি রসের আয় দিয়েই চলে ফয়সালের সংসার।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য