-->
শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতি নির্বাচন

 বিএনপির ভোট বর্জন করে সংবাদ সম্মেলন

শরীফুল ইসলাম সুমন, নারায়ণগঞ্জ
 বিএনপির ভোট বর্জন করে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শর্ত ছুড়ে ২ দফা দাবি জানিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে বিএনপি পন্থী আইনজীবিরা জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
 
 
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জাকির ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল বাতেন, অ্যাড. রকিবুল হাসান শিমুল, অ্যাড. বেনজির আহমেদ, অ্যাড. হেলাল উদ্দীন সরকার, অ্যাড. তারিকুল ইসলাম বুলবুল, অ্যাড. জাহিদ হাসান রুবেল, অ্যাড. মামুন মাহামুদ মিয়া, অ্যাড. টুটুল সুলতানা, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, অ্যাড. কামাল হোসেন, অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহামুদ, অ্যাড. ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান, অ্যাড. রাসেল মিয়া, অ্যাড. আদনান মোল্লাসহ  বিপুল সংখ্যক বিএনপিপন্থী আইনজীবী।
 
জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দুটি দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন।  দাবি গুলো হলো- বর্তমান একদলীয় নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সিনিয়র নিরপেক্ষ আইনজীবী দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে বহিরাগতদের সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে ও মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়াতে হবে। 
 
 
অপরদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, ২০১৮ সালের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচন এককভাবে প্রভাবিত। সমিতির সাধারণ সভায় সাধারণ আইনজীবীদের কোনো মতামত নেওয়া হয় না। তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দলীয় লোকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। শুধু তাই নয় প্রচারনা শুরু থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বহিরাগতদের আদালতে এনে পেশী শক্তি প্রদর্শন করায়। এতে করে সাধারণ আইনজীবী ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতংক বিরাজ করে। আর নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়। ফলে আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও বহিরাগত প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন। যদি এই শর্ত মানা হয় তাহলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন প্যানেল নির্বাচনে অংশ করবেন। আর নামলে এবারের নির্বাচন আমরা বর্জন করবো।
 
 
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচতলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নির্বাচনের জন্যে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এবং ৩ সদস্যের আপীল বোর্ড গঠন করা হয়। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন এড. সামসুল ইসলাম ভূইয়া। 
 
 
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাড. আশরাফ হোসেন, অ্যাড. আবদুর রহিম, অ্যাড. মেরিনা বেগম এবং অ্যাড. সুখচাঁদ সরকার।
 
 
আপীল বোর্ডে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাড. ইমদাদুল হক তারাজুদ্দিন, অ্যাড. নুরুল হুদা এবং অ্যাড. হুমায়ুন কবির।
 
 
নারায়ণগঞ্জ বার নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা ১৫ - ১৭ জানুয়ারি, যাচাই-বাছাই ও প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৯-২১ জানুয়ারি,  চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২২ জানুয়ারি আর ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টা হতে বিকাল সাড়ে চারটায় পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version