জাতীয় সংসদে বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০টি। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এ সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০টিতে উন্নীত করা হয়। আইন অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
আসন বণ্টন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের জন্য কোনও নির্ধারিত নির্বাচনী এলাকা নেই। তারা কেবল দলীয় বা জোটের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবে। এক্ষেত্রে দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মহিলা আসন বণ্টিত হবে।
গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ২২২টি আসন জাতীয় পার্টি ১১টি আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়। সেই ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামীলীগ সংরক্ষিত মহিলা সংসদ পাবে ৩৭টি, জাতীয় পার্টি ২টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারবেন ১১টি আসনের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করার পরপরই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সিলেট বিভাগে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এবার আওয়ামীলীগ এর নতুন চমক থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দলের অনেক নেতা কর্মী। সিলেট বিভাগের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সৈয়দা জেবুন্নেসা হক সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ এর সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা ডা. নাজরা চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরুদ্দীন আহমদ কামরান এর স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী প্রয়াত মহসীন আলীর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসীন। এর বাইরেও দলের বিভিন্ন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে লবিং করছেন সিলেট বিভাগের অন্তত ডজন খানেক মহিলা নেত্রী।
আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীদের মাঝে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ জেবুন্নেসা হক দলের প্রতি দীর্ঘ দিনের ত্যাগ উনাকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ এর সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা ডা. নাজরা চৌধুরী প্রবাসে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রবাসে তার চিকিৎসা পেশা ছেড়ে দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার পাশাপাশি একজন সমাজকর্মী হিসেবে উনার সুনাম রয়েছে। বিগত দিনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে উনার কার্যক্রম সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। করোনা মহামারিতে সিলেট শামসুদ্দিন হাসপাতালসহ সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিভিন্ন মেডিকেল সামগ্রী ও অক্সিজেন দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার মূল্যায়ন পেতে পারেন ডা. নাজরা চৌধুরী।
সিলেটের সাধারণ মানুষের প্রিয় দু’জন ব্যক্তি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরুদ্দীন আহমদ কামরান ও সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী প্রয়াত মহসীন আলী। সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরুদ্দীন আহমদ কামরানের সহধর্মিণী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান ও প্রয়াত মহসীন আলীর সহধর্মিণী সায়রা মহসীন ও রয়েছেন দলের হাইকমান্ডের পছন্দের তালিকায়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য