কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মুসলেম উদ্দিন (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোররাতে জালিয়াপালং ২ নম্বর ওয়ার্ড কাসিম মার্কেটের দক্ষিণ পাশে বায়তুশ শরফ সংলগ্ন পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসলেম উদ্দিন উখিয়া পাইন্যাশিয়া চাককাটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে জালিয়াপালং এর বাসিন্দা হেলাল কোম্পানীর ডাম্পার ট্রাকে অবৈধভাবে মাটি কাটছিল মুসলেম উদ্দিন। এসময় হঠাৎ করে বড় একটি মাটির স্তুপ ও গাছের ধারালো শিকড় তার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে ঢুকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হয় মুসলেম। এসময় তার সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা মুসলেম উদ্দিনকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম হোসেন। তিনি জানান, পাহাড় কাটতে গিয়ে নিহত মুসলিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, জনৈক হেলাল কোম্পানী ও তার ভাই সরওয়ার মিলে দীর্ঘদিন ধরে বনের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। তার নিয়ন্ত্রণে দিন রাতে অবিরাম পাহাড় কেটে শতশত ট্রাক মাটি পাচার করা হয়। এ সংক্রান্তে হেলাল কোম্পানির পাহাড় কাটা স্থানে গিয়ে বন বিভাগ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে মামলাও দিয়েছেন। তবুও থেমে নেই হেলালের পাহাড় নিধনের অবিরাম কর্মযজ্ঞ।
এবিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জ অফিসার ফিরোজ আল আমিন বলেন, হেলাল উদ্দিন এর নামে এর আগেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকবার মামলা দেওয়া হয়েছে। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় চারদিকে সোর্স লাগিয়ে চুরি করে পাহাড় কাটে তারা। শনিবার ভোররাতে জালিয়াপালং কাশেম মার্কেট সংলগ্ন সমিতির ঘোনা এলাকায় চুরি করে পাহাড় কাটতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এঘটনায় হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য