কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই শুঁটকি তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য বদল করছেন নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ভীম বিশ্বাস। তিনি এই শুঁটকি দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। সারাটি বছর জুড়ে নিজের তৈরি এ শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে অর্থনৈকিভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন ভীম বিশ্বাস।
সরেজমিন দেখা গেছে, মির্জাপুর এলাকায় দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠের এক পাশে মাঁচা তৈরি করে রোদে শুকানো হচ্ছে পুটি মাছ। ৪ থেকে ৫ জন শ্রমিক মাছ শুকানোর কাছে নিয়মিত কাজ করছেন। গ্রামের বিভিন্ন বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে এনে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হচ্ছে।
শুঁটকি তৈরি কাজে ব্যস্ত থাকা রাজকুমার বলেন, বাজর থেকে ১৫শ থেকে ২ হাজর টাকা মণ মাছ কিনে এনে এগুলো রোদে শুকানো হয়। টানা ৫ থেকে ৭ দিন রোদে শুকিয়ে বস্তা বন্দি করে জেলা থেকে শুরু করে অন্যান্য উপজেলায়ও বিক্রি করা হয় এ শুঁটকি। শুকনো মাছগুলো ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণে বিক্রি করা হয়।
শুঁটকি প্রস্তুতকারক উদ্যক্তা ভীম বিশ্বাস বলেন, দেশি পুটি মাছের শুঁটকি তৈরি করে থাকেন তারা। কোন প্রকার ক্ষতিকারক কেমিক্যাল প্রয়োগ ছাড়াই এ শুঁটকি তৈরি করেন তিনি। যে কারণে তার শুঁটকির চাহিদা বর্তমানে জেলার গন্ডি পার হয়ে এখন দেশজুড়ে।
সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটু মোল্যা বলেন, ভীম বিশ্বাসের সম্ভাবনাময় শুঁটকি শিল্পের উন্নয়ন দেখে আশ পাশের গ্রাম গুলোতে ও শুঁটকি তৈরিতে আগ্রহ দেখা দিবে। যার ফলে, ক্ষুদ্র শুঁটকি ব্যবসায়ীরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার যুবসমাজ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, উপজেলায় শুঁটকি ব্যবসার প্রসার ঘটাতে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সকল প্রকার সহযোগিতা করছে এবং তা ভবিষ্যতেও করবে। সব কিছু মিলিয়ে নড়াইল শস্য ও মৎস্য ভাণ্ডার নামে খ্যাত। এ অঞ্চলের ফসলাদি ও মৎস্য সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে দেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য