চুয়াডাঙ্গায় আবারো বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সোমবার সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতের ফলে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
এর আগে, রোববার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৫ টায় চ্য়ুাডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বেলগাছি ঈদগাহ মাঠে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরার পরিচালনায় কম্বল বিরতণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) শারমিন আক্তার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হামিদ রেজা ও ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
শৈত্যপ্রবাহ ও হাড় কাপানো শীত নিবারনের জন্য কম্বল পেয়ে জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, বৃদ্ধ চাঁদ আলী, শ্রী নিমাই চন্দ্র প্রমুখ।
বৃদ্ধা রবিছন নেছা বলেন, শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। কম্বল পেয়ে খুব ভাল লাগছে। এখন থেকে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য