-->
যমুনা নদী থেকে

৪ বছরে অবৈধভাবে ১শত কোটি টাকার বালু উত্তোলন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
৪ বছরে অবৈধভাবে ১শত কোটি টাকার বালু উত্তোলন
ক্যাপশন: যমুনা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থেকে গত ৪ বছরে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে ১শত কোটি টাকার বালু উত্তোলন করা হয়েছে। ফুলবাড়ী যমুনা নদীতে বৈধ ঘাটের বালু উত্তোলনের ডাক থাকলেও নেই কোন ডাককারী। এ কারণে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাইভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন।

 

দৌলতপুর, খয়েরবাড়ী, শ্রীপুরঘাট, বারাইপাড়া, মহদীপুর, শিবনগর ইউপির পলি শিবনগর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এ সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশানস আইনগত ব্যবস্থা নিলেও অবৈধবালু উত্তোলন মোটেও বন্ধ হচ্ছে না। আর এর সাথে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের লোকজন। ফলে গত ৪ বছরে প্রায় ১শত কোটি টাকার বালু উত্তোলন করা হয়েছে ফুলবাড়ীর যমুনা নদী থেকে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

জানা গেছে, ফুলবাড়ীতে দুটি ঘাটের ডাক থাকলেও ডাকের পরিমান বেশি থাকায় কোন ইজারাদার ডাকের দরপত্র গ্রহণ করেন না। ফলে প্রতি বছর বৈধ ঘাটের ডাক থেকেই যাচ্ছে। সিন্ডিকেট দলের হোতারা যে যেখানে পারছেন সেখান থেকে সুযোগ মত বালু উত্তোলন করছেন। সরকারী কাজকর্মে বালুর প্রয়োজন হলেও এখন বালু পাচ্ছে না ঠিকাদারেরা। অতিরিক্ত দামে বালু কিনতে হচ্ছে মহনপুর ও চিরিরবন্দর এলাকা থেকে।

 

ফুলবাড়ী বালু মহলের সরকারী ডাক কমালে এই বালুমহলটি চালু করা হলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব পাবে অন্যদিকে সরকারী ও বেসরকারী কাজ কর্মে চড়া দামে বালু কিনতে হবে না ঠিকাদার ও সাধারণ মানুষকে।

 

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল কামাহ তমান এর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, নৌ ও পরিবহর মন্ত্রনালয় থেকে সার্ভে করবেন এবং আমাদের বালু মহল সরকারী ডাক অতিরিক্ত থাকায় সাধারণ ঠিকাদারেরা বালু মহল ডাক করতে আসছেন না। এ কারণে বালু মহলের ডাক বন্ধ হয়ে যায়।

 

এ ব্যাপারে দ্রুত বৈধ ঘাট চালু করার জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের অসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফুলবাড়ীর এলাকাবাসী।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version