-->

সরাইলে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা: ১০ লাখে রফাদফা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
সরাইলে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা: ১০ লাখে রফাদফা
নিহত জাহিদুল ইসলাম পরশ (২১)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ (২১) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আপোষ-মীমাংসার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের মেরাজ মেম্বার বাড়িতে অভিযুক্ত শফিক এবং নিহতের পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতে এ আপোষ হয়।

 

সোমবার জানা যায়, সালিসে নিহত জাহিদুল ইসলাম পরশের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা, সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, মেরাজ আলী মেম্বার, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, দেওয়ান আলী মেম্বার, মুরতাস মিয়াসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা যায়, গত দুই দিন আগে পাশের বাড়ি আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদে ১৮ জানুয়ারি সকালে সন্দেহজনকভাবে জাহিদুলকে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় সে মারা যায়।

 

হত্যায় অভিযুক্ত শফিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে আমি গ্রামবাসীদের নিয়ে বসে ছিলাম। নিষ্পত্তি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না।

 

মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের বোন বলেন, আমরা কিছু জানি না।

 

ইউপি মেম্বার মেরাজ আলী জানন, ১০ লাখ টাকা রায় করা হয়ে ছিল। তারা এখনো পরিশোধ করে নাই।

 

নোয়াগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বলেন, ৬ লাখ টাকা মধ্যে মীমাংসা হয়েছে আর খরচপাতি বাবত আসামি পক্ষ বহন করবে।

 

এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, অর্থের বিনিময়ে সালিস বৈঠক করে মিমাংসার বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে উনারা থানায় আসার কথা ছিল আসে নাই।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version