দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কামড় দিয়ে আঙ্গুল কেটে নেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন ভূক্তভোগী মো. জাকারিয়া। মামলা দায়েরের পর উল্টো বিপাকে পড়েছেন বাদী। জামিনে এসে জাকারিয়া নামের ওই কর্মকর্তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকির পাশাপাশি কর্মস্থলে চাঁপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি মধ্যপাড়া পাথর খনিতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে মধ্যপাড়া পাথর খনির আবাসিক এলাকার পলাশ ভবনের সামনে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে খনির ব্যবস্থাপক (এসইও এন্ড এম) সহিদুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপক (ভান্ডার) মো. জাকারিয়ার বাক বিতন্ডা হয়। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সহিদুল ইসলাম নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জাকারিয়ার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলে কামড়ে ধরলে তা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতির কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হলে দীর্ঘ দিনের চেষ্টার পর অবশেষে আঙ্গুলের কিছু অংশ কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জাকারিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইউজিএমপি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে আবহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। অধিক তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে নেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ভূক্তভোগী জাকারিয়া বাদী হয়ে সহিদুল ইসলামকে আসামী করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে গাঁ ঢাকা দেন তিনি। জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে দেন হুমকি। অজ্ঞাত কারণে খনির কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাও তার পক্ষ হয়ে উঠেপড়ে লাগার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, মামলা তুলে নিতে কর্মস্থলে চাপ সৃষ্টিরও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মুহাম্মদ ফরিদুজ্জামানের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য