চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি ইটভাটার অফিসে ডাকাতি করার অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার ফজরের সময় উপজেলার কেঁওচিয়াস্থ গরুর বাজারের সামনে এনবিএম ব্রিকফিল্ড নামক ইটভাটায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এনবিএম ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার মো. রহমত উল্লাহ জানান, বুধবার ফজরের আযানের আগে একদল লোক অস্ত্রসস্ত্রসহ অফিসের সামনে এসে দায়রোয়ানকে বলে আপনি কে? তখন দারোয়ান বলেন, ‘আমি এখানকার দারোয়ান।’ তখন দারোয়ানকে বলে ‘আমরা পুলিশের লোক, অফিসে কে আছে?’ তখন দারোয়ান বলেন, ‘অফিসে কেরানী আছে।’ তখন তারা বলে অফিস কেরানীকে ডাকেন। সাথে সাথে রুকনকে দারোয়ান ডাকলে তারা রুকনকে আর দারোয়ানকে পুলিশ পরিচয়ে অফিস খুলতে বলেন।
এরপর অফিস খোলা মাত্র দারোয়ানকে আর রুকনকে অফিসের ভেতরের আরেকটি রুমে আটকিয়ে, সকলের মোবাইল ফোন কেঁড়ে নিয়ে সিসি ক্যামেরা, যাবতীয় যন্ত্রপাতি এবং ক্যাশ টেবিল বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৫৬ হাজার টাকা ও দারোয়ানের পকেটে থাকা ৯শত টাকাসহ মোট ৬টি মোবাইল ও ৫৭হাজার টাকার মত তারা ডাকাতি করে নিয়ে যান বলে জানান ম্যানেজার।
ডাকাতদল ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় আরো বলেন, ‘তোদের মালিককে বলিস কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। বাড়াবাড়ি করলে অবস্থা খারাপ হবে।’
এদিকে ইটভাটার তৌহিদ নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা পুলিশের লোক, অফিস খুল খুল বলে আমাদের কয়েকজন ষ্টাফকে জিম্মী করে তাদের সবার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি রুমে আটকিয়ে রাখে তারা। আর তাদের সবার হাতে অস্ত্র থাকায় আমরা কাউকে কিছু করতে পারিনি।
এদিকে সাতকানিয়া থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেন, আমি এখনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।
এদিকে এনবিএম ব্রিকফিল্ডের মালিক মঈন উদদীন বলেন, ফজরের সময় নাকি এই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তারা সিসি ক্যামেরা, মোবাইল, টিভি এসব নিয়ে গেল। ক্যাশ টাকা ৫০/৬০হাজারের বেশী পাবেনা। তবে তারা পুলিশ পরিচয়ে দারোয়ানকে আটকিয়ে কেরানী ডেকে অফিস খুলে উল্টো তাদের রুমে আটকিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর তারা নাকি চলে যাওয়ার সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেল। এটা আসলে আমি বুঝতেছিনা এই ঘটনা কারা ঘটালো? আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য