-->

বরগুনায় ওএমএস এর আটা জব্দ

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় ওএমএস এর আটা জব্দ
ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল-আটা উপকারভোগীদের মধ্যে বিক্রি না করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বরগুনা পৌরসভার এক পরিবেশক (ডিলার)। দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার বিষয়টি বুঝতে পেরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খবর দেন। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওই দোকানের পাশের গোডাউন থেকে ২৫০ কেজি আটা জব্দ করেন।
 
 
 
বুধবার বিকালে বরগুনা জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ দিকে এ ঘটনা ঘটে।
 
 
 
ওই ডিলারের নাম হোসেইন ইউসুফ। তিনি পৌর এলাকার খামারবাড়ি সংলগ্ন ওএমএসের পন্য বিক্রি বিক্রি করেন।
 
 
 
জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা পৌরসভায় পাঁচটি পয়েন্টে  নিবন্ধিত ১০ জন ডিলার সপ্তাহে তিনদিন করে ৫টি পয়েন্টে  ওএমএস পন্য বিক্রির জন্য দিনে ১ হাজার কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ২৪ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। একজন সুবিধাভোগী সর্বোচ্চ ৩ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন। পুরো বিক্রয় প্রকৃয়া দেখভালের জন্যে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের দু'জন ট্যাগ অফিসার দায়িত্বে থাকেন। 
 
 
 
এ ঘটনার সময়ে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অফিসার মো. আনছার উদ্দিন বলেন, অফিস কার্যাদেশ অনুযায়ী হোসেন ইউসুফ পুরাতন ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পয়েন্টে সপ্তাহে তিন দিন ওএমএস পন্য বিক্রয় করেন। প্রতিদিনের মত সকালে ট্যাগ অফিসার আসার পরেই ওএমএস কার্যক্রম শুরু করলেও মঙ্গলবার সকালে আমরা এসে দেখি তার প্রতিনিধি বিক্রয় শুরু করে দিয়েছেন। আমি খাতার সাথে বিক্রয় তালিকা মিলিয়ে দেখি ২৫০ কেজি আটা কম। বিষয়টি আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী মো. গোলাম কিবরিয়া স্যারকে জানাই। পরে তিনি এসে দোকানের পাশের একটি কক্ষ থেকে আটা উদ্ধার করেন।
 
 
 
এ বিষয়ে ওএমএস ডিলার হোসেন ইউসুফ বলেন, আমি নিজে ব্যাস্ত থাকি তাই প্রতিনিধি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করি। আমার প্রতিনিধি বলেছে ১০ বস্তা আটার ৫ বস্তা এনে বিক্রি করার পরে বাকি ৫বস্তা এনেছে। এ ছাড়া সে কি করেছে আমি জানিনা। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ ব্যবসা আর করব না। অতি শীঘ্রই আমার ওএমএস লাইসেন্স ক্যান্সেলের জন্য আমি নিজেই আবেদন করব।
 
 
 
এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার ট্যাগ অফিসের কাছে শুনে এই পয়েন্টে যেয়ে ৫বস্তা আটা পাশের একটি কক্ষ থেকে জব্দ করি। ওখানের ডিলার হোসেন ইউসুফ প্রতিনিধি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া না পর্যন্ত এই ২৫০ কেজি আটা জব্দ থাকবে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবগত করা হয়েছে। তদন্ত করে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version