-->

ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল ও প্রকাশ্য চাঁদাবাজির প্রতিবাদসহ মানহানীকর অপ-প্রচার থেকে প্রতিকার পেতে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন ।

 

শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের বামনিকাঠী এলাকার চাবুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মৃত্যু তাজেম আলী মৃধার ছেলে নাসির মৃধা, মজিবর মৃধার ছেলে আফজাল মৃধা ও ইমরান মৃধা।

 

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আফজাল মৃধা বলেন, আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে তথাকথিত ভূইফোড় অনলাইন সাইটে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সম্মানহানীকর প্রতিবেদনের প্রতিবাদে এবং আপনাদের সম্মুখে সঠিক তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের লক্ষে আজ এই সংবাদ সম্মেলন।

 

প্রকৃত ঘটনার বিবরণী লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের পশ্চিম কায়না মৌজার, ১০০নং জেএল এর সিএস খতিয়ান নং-৪২, আর এস খতিয়ান নং-১৭৩, এসএ খতিয়ান নং-৬৮, যাহার ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮ ও ৯৯৬ নং দাগের মোট জমি ৮৭ শতাংশ। যার মূল মালিক ছিলেন আমার দাদা গঞ্জুর আলী মৃধা। তার মৃত্যুতে আমার পিতা ও চাচারা ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা নিয়ে ভোগ দখল করছি। এই জমিতে বাড়ি ঘর, পুকুর ও চলাচলের রাস্তা ঘাট আমরা ভোগ দখল করছি। আমাদের পরিবারে সদস্য ও ওয়ারিশরা অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য দেশ বিদেশে অবস্থান করছে।

 

এই সুযোগে পাশ্ববর্তী বাড়ির ফোরকান রাড়ি, হারুন রাড়ি, পারভেজ, রনি, সুজন, মিন্টু, সজিব, রাজ্জাক, নাসরিন, হনুফা, নজরুল ও মিল্টন রাড়ি গং রা একটি ভুয়া ও বানোয়াট নিলাম খরিদ দেখিয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মো. কালু রাড়ি বাদী হয়ে আর্শ্বেদ আলম মৃধাকে বিবাদী করে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। যার নং- ৪১১/২০১৫। উক্ত মামলায় বাদী স্থগিতাআদেশের আবেদন করলে, বিজ্ঞ আদালত শুনানী মতে বাদীর আবেদন না-মঞ্জুর করে, বিবাদীরে রেকর্ডকে শুদ্ধ বলে ঘোষণা করেন এবং মামলাটি চলমান রয়েছে। অথচ, মিথ্যা , বানোয়াট ও মনগড়া প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে দাবী করা হয়েছে। যা মিথ্যা, বানোয়াট , প্রতারণা ও আদালত আবমাননার সামিল।

 

ভুক্তভোগী নাসির মৃধা বলেন, বাউফলের বগা ইউনিয়ন ১০১নং জেএল এর ১নং খাস খতিয়ানের ৮২নং খাল শ্রেণীর দাগের জমির উপর দিয়ে এবং কছিু রেকর্ডীয় জমির মধ্যে দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের জন্য বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করলে, তিনি দাপ্তরিক পত্রের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের আদেশ প্রদান করেন। সরকারী আদেশ থাকার পরেও উক্ত স্থানে রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে পাশর্^বর্তী বাড়ির ফোরকান রাড়ি, হারুন রাড়ি, পারভেজ, রনি, সুজন, মিন্টু, সজিব, রাজ্জাক, নাসরিন, হনুফা, নজরুল ও মিল্টন রাড়ি গং রা সম্মিলিত হয়ে বাধা প্রদান, ৫ লাখ টাকার চাদা দাবী করে। চাদা দিতে অস্বীকার করলে আমিসহ আমাদের ওয়ারিশ গণকে মারধর, জখম, অঙ্গহানী ও হত্যার হুমকি প্রদান করে।

 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বাউফল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরীসহ আদালতে ১৪৪ দ্বারা জারী চেয়ে আমরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আদালতে আবেদন করি। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি-সহকারী কর্মকর্তাকে জমির ম্যাপ, দখল প্রতিবেদন, কাগজপত্রসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন এবং বিবাদী ফোরকান রাড়ি গং কে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দাখিলের আদেশ প্রদান করেন।

 

ভোক্তভোগী ইমরান মৃধা বলেন, আমাদের পুরুষদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির নারীদের নানান ধরনে হয়রানী নির্যাতন, শ্লীতহানী ও খুনের উদ্যেশ্যে স্ব-স্বস্ত্র হামলা করে। গত ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ২.০০ টার দিকে জমি থেকে উচ্ছেদের উদ্যেশ্যে হামলা করে। এসময় আমাদের ওয়ারিশ আব্দুল মালেক মৃধা ও তা স্ত্রী জাহানারা বেগমকে বেধম মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ফোরকান ও হারুণ রাড়ি সহ ৬জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ফোরকান ও হারুণ রাড়ি দীর্ঘনি কারাগারে থাকে। আসামীরা জেল থেকে বের হয়ে আবারও একই কাজ করছে।

 

আমরা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদ ও আইনের আশ্রয় গ্রহণ করায়, আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, তথাকথিত ভূাইফোড় অনলাইন সাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্মানহানীকর প্রতিবেদন করিয়ে চলছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চাই, এর প্রতিকার চাই।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version